এম এ মোতালিব ভুঁইয়া :
দোয়ারাবাজার উপজেলায় আওয়ামীলীগের আসন্ন সম্মেলন ঘিরে উপজেলা জুড়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন। দলের তুণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা এখন দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। তবে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদের একাধিক প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে। দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি যিনি যোগ্য ও দলের ক্রান্তিকালে হাল ধরতে পারবেন তাকেই যেন বিবেচনা করা প্রয়োজন।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ঘোষণা মোতাবেক আগামী ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। দীর্ঘদিন পর সম্মেলনের আয়োজনে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা।
সম্মেলনকে ঘিরে এখন দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।প্রান ফিরে পেয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতি।আওয়ামীলীগের জন্য কে কি করেছেন, নেতাকর্মী পাশে থেকেছেন, শ্রম দিয়েছেন এইনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছবি ছেড়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টায় মত্ত অনেকেই।
এছাড়াও পদ-পদবী নিজেদের দখলে নিতে স্থানীয় নেতারা কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই শুর“ হয়েছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। কারা কারা হচ্ছেন প্রার্থী এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কেই বা হচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী। সবচেয়ে বেশি তৎপর দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সরব সমর্থকরা।
পদপদবী দাবী করে ছবি দিয়ে দলীয় ফোরামের দৃষ্টি আর্কষণ করছেন।সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য নতুন নেতৃত্বের দাবী উঠেছে তৃণমূলে। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কমিটিতে পরিবর্তন আসছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত একাধিক সূত্রের দাবী, নতুন কমিটিতে তাদেরই সমর্থন দেয়া হোক যারা বিতর্কিত নয়। যাদের ইমেজ ভালো। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ও যোগ্য ব্যক্তিকেই সর্বোচ্ছ পদ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে তৃণমূলে হাইব্রিডদের নিয়ে রয়েছে সতর্ক বার্তা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তৃণমূল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নানামুখী বিষয় নিয়ে কথা বলছেন ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এরই মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে হাইব্রিডদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু“ হয়েছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সুবাদে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতসহ অন্য কোন দলের বিতর্কিত নেতারা কোথায় কোথায় অনুপ্রবেশ করেছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে এদের দল থেকে ছেঁটে ফেলা হবে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে কারা প্রার্থী হচ্ছেন এ নিয়ে ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের মুখে মুখে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন- সভাপতি পদে সাবেক আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক,উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ফরিদ আহমেদ তারেক,উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শামীমুল ইসলাম শামীম ও যুগ্ম আহবায়ক সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক এর নাম শুনা যাচ্ছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক, লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল হক,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ ইমন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক আহ্বায়ক সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট ছায়াদ মিয়ার নাম শুনা যাচ্ছে।