মো. জাহানুর ইসলাম :
রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শাহবাগ মোড়ের অদুরে রমনাপার্কে ০১ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে “দি ইনভিন্সিবল ৯/১১” এর সদস্যদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলো বন্ধুত্বের এক মিলনমেলা। এটাকে আসলে বন্ধুত্বের জয়গানের আসর বলাই শ্রেয়। বন্ধুত্বের জয়গান বলা শ্রেয় একারণে যে আজকের আসরে কী না ছিল!গল্প আড্ডা থেকে শুরু করে বিপদে পড়া বন্ধুর পাশে দাঁড়ানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস। ছিল কেক কাটা উৎসবও। বলতে গেলে কোন কিছুর কমতি ছিল না।
“দি ইনভিন্সিবল ৯/১১” এর অন্যতম সদস্য ইমরানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজকের আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন সাজ্জাদ, ওমর ফারুক, মোত্তালেব, আশিক, মৃত্তিকা, জসিম,আফছার, সাইফুল, তন্নি, রবিউলসহ অনেকেই। প্রথমে নিজেদের মধ্যকার কথাবার্তা দিয়ে শুরু হয়ে শেষ হয় আলো আঁধারের সন্ধ্যার গোধূলিলগ্নে কেক কাটার মধ্য দিয়ে। মধ্যবর্তী সময়টায় একে অপরের সাথে গল্প, আড্ডায় মেতে ছিল সবাই। আসরের আড্ডায় উঠে আসে প্রত্যেকের বর্তমান অবস্থা। কে কে চাকরি পেয়েছে, আর কে পায়নি, কিংবা ভবিষ্যতে কার কী পরিকল্পনা আছে সবটাই উম্মোচিত হয় সবার সামনে। বাদ ছিল না ব্যক্তিগত, সামষ্টিক ও গ্রুপ ছবি তোলাও। বন্ধুত্বের মো’জেজাটা আসলে এখানেই। বন্ধুত্ব আসলে এমনই, বন্ধুদের মেলবন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধ যে কতটা দৃঢ় স্বচক্ষে না দেখলে তা উপলব্ধি করা কঠিন। বন্ধুত্বের দৃঢ়তা ইস্পাতের চেয়ে বেশি কঠিন বলেই মনে হয়। সম্পর্ক এতো গভীর হলে একজন অপরের জনের ডাকে সাড়া দিবে এটাই তো স্বাভাবিক। অনুষ্ঠানে হয়েছিলও তাই। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ইমরান বলেন,ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিলো পুরো আয়োজন। সুসম্পর্কের একটি বেলা প্রমাণ করেছে বেঁচে থাকাটা সত্যি আনন্দের। বেঁচে থাকুক এমন ভালোবাসা আজীবন। অবিরাম চলার পথের অনুপ্রেরণা হোক বন্ধুত্ব। জয় হোক বন্ধুত্বের। আসরের শেষ দিকে “দি ইনভিন্সিবল ৯/১১” গ্রুপের সদস্য অসুস্থ রাফার প্রসঙ্গ উঠে আসে। উপস্থিত অনেকেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। অনেকে আবার পরবর্তীতে সাহায্য করবে বলেও আশ্বস্ত করেন। আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ : ৩০ টায় আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটে আসরের।