রফিকুল ইসলাম জসিম | নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। আর এই মর্মান্তিক মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার অভিযানে সামনের সারিতে ছিলেন সেনাবাহিনীর এক সাহসী সদস্য—আকাশ মোজাম্মেল হক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, ধোঁয়ার মধ্যে গেঞ্জি পরা এক যুবক ক্লান্ত মুখে কিন্তু দৃঢ় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন। ছবিটি দেখে অনেকেই একে কোনো সিনেমার দৃশ্য বলে ভুল করছেন, কিন্তু বাস্তবতা আরও গভীর—এটি সাহস, দায়িত্ব ও দেশপ্রেমের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যামে বরাতে জানা যায়, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর পরই মোজাম্মেল হক ছুটে যান আহতদের উদ্ধারে। আগুন আর ধোঁয়ার ভয়াবহতার মধ্যেও তিনি থেমে যাননি। পেশাদার মনোভাব ও ব্যক্তিগত সাহসিকতায় তিনি উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করেন।
জানা গেছে, বিমানটি প্রশিক্ষণ উড্ডয়নের সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের মাইলস্টোন স্কুল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে পাইলট ও সহপাইলট আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। এ সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তবে মোজাম্মেল হকের মতো সৈনিকদের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
সেনাসদস্য মোজাম্মেল হক (আকাশ) আমাদেরই এলাকার সন্তান। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন শান্ত, ভদ্র ও দায়িত্বশীল। আজ তার সাহসিকতা শুধুই বাহিনীর নয়, গোটা জাতির জন্য এক অনুপ্রেরণা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজারো মানুষ তাঁকে প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। তাঁর মতো সাহসী যোদ্ধারাই প্রকৃত অর্থে দেশের আসল নায়ক। আল্লাহ তাকে সুস্থ, নিরাপদ এবং সম্মানিত রাখুন—আমিন।