রফিকুল ইসলাম জসিম ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গুণিজন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার(২১জুলাই) বিকাল ৫টায় উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের তেতইগাও গ্রামের মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্সে বাংলাদেশের মণিপুরী জনগোষ্ঠীর ১১ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে গুণিজন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ (বামসাস) সাধারণ সম্পদক নামব্রম শংকর ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অয়েকপম অঞ্জু এর যৌথ সঞ্চালনায় বামসাস কমলগঞ্জ শাখা সভাপতি মাইবম বীরেন্দ্রের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন মৌলভীবাজারের বিশিষ্ট লেখক কবি ও সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু, বামসাস কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি এ কে শেরাম।
গুণিজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে গুণিজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমলগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, জুড়ি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা, ইউপি মহিলা সদস্য শ্রীমতী পদ্মা দেবী ও ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জের কবি ও লেখক আব্দুস সামাদ, শিক্ষক ও কবি সাজ্জাদুল হক স্বপন, কমলগঞ্জ বামসাস এর উপদেষ্টা ইবুংহাল শ্যামল, বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ ছোট ধামাই শাখার সভাপতি অহৈবম রনজিৎ প্রমুখ।
বাংলাদেশের মণিপুরী জনগোষ্ঠীর ১১ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে জনকল্যাণ মূলক কাজের অবদান জন্য সংবর্ধনা দেয়া হয়। সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ হলেন— মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা, কমলগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের সদস্য শ্রীমতি পদ্মা দেবী, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের সদস্য মো. জুমের আলী, ইসলামপুর ইউনিয়নের মো. ফজলুর রহমান, আদমপুর ইউনিয়নের মো. হেলাল উদ্দিন।
আদমপুর ইউনিয়নের মো. কামরুজ্জামান, আদমপুর ইউনিয়নের গুলনাহার বেগম বেণী, ইসলামপুর ইউনিয়নের হাজিরা পারভীন, আদমপুর ইউনিয়নের জরিনা বেগম এবং আলীনগর ইউনিয়নের সত্যজিৎ সিংহ।
উল্লেখ্য : বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদের পথচলা শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১১ মে তারিখে। ১৯৭৯ সালে সংসদ প্রথমবারের মতো গুণিজন সম্মাননার উদ্যোগ নেন। মণিপুরী সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন, সমাজের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যাদের উল্লেখযোগ্য একটি ভূমিকা আছে তাঁদেরকে সম্মাননা জানানোর লক্ষ্যেই এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।
মণিপুরী সংস্কৃতি, ক্রীড়া, শিক্ষা ও সমাজসেবার ক্ষেত্রে যাদের অনন্য অবদান আছে তাদেরকেই গুণিজন সম্মাননার জন্য নির্বাচন করা হয় এবং একটি ভাবগতীর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা জানানো হয়।
প্রথমবার ১৯৭৯ সালে মণিপুরী শিল্প-সংস্কৃতির চার বিশিষ্টজনকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর পর থেকে প্রায় প্রতি বছরই গুণিজন সম্মাননার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। গুণি ব্যক্তিকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। প্রতিবছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও সংগঠনটি বাংলাদেশের মণিপুরী জনগোষ্ঠীর ১১ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে গুনীজন সম্মাননা জ্ঞাপন করেছেন।