আব্দুল মুনঈম, স্টাফ রিপোর্টার :
রংপুর জেলা, গংগাচড়া উপজেলার ৩নং বড়বিল ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বিলে অবস্থিত পশ্চিম বড়বিল মাস্টার পাড়া জামে মসজিদের ওযুখানা স্থানীয় এক যুবক মোঃ রুহুল আমিন (৪২), পিতা মোঃ এন্দাজ উদ্দিন লকডাউন এর সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে লোক চক্ষুর আড়ালে ভেঙ্গে দেন মসজিদের ওযুখানা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ নুর ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমি এই মসজিদের খতিব হিসেবে নিযুক্ত আছি কোন দিন কোন বিষয়ে কারো দ্বিমত দেখি নাই। কিছুদিন আগে মসজিদের সংস্কার কাজে হাত দিলে রুহুল ইসলামের চাচা মোঃ মোকছেদুল ইসলাম এর বাসা মসজিদের সংলগ্ন হওয়ায় তিনি কিছু জমি মসজিদে দান করেন। সেখানে করা হয় সম্প্রসারিত মসজিদের ওযুখানা।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ সাজু মিয়া জানান, সব কিছু যখন ঠিকঠাক চলছিল এমন সময় রুহুল আমিন এর সাথে তার চাচার পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পরে, এরপর থেকেই ওয়াফকৃত জমির দিকে তার নজর চলে যায় এবং সেই জমিকে নিজের করে নিতে মসজিদ কমিটির কাছে নানা রকম জোর জবরদস্তি হুমকি ধামকি এবং স্থানীয় মেম্বর সহযোগী হওয়ায় বিভিন্ন রকম ভয় দেখিয়ে আসছিল এবং গতকাল জুম্মার নামাজের আগে নিজেই কুড়াল দিয়ে মসজিদের ওযুখানাটি ভেঙে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির আর এক সদস্য রীতিমত অবাক তথ্যই দিলেন, যা স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলতে থলের বিড়াল বেড়িয়ে এলো। এলাকাবাসী জানান রুহুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন যাবৎ নানা রকম মাদক দ্রব্য সেবন ও এগুলোর কেনা বেচার এবং স্থানিয় চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। সে কয় দিন যাবৎ তার চাচার দান করা জমি উপর ওযুখানা দখলকরার চেষ্টা চালায় এবং মসজিদ কমিটির কাছে মোটা টাকাও দাবী করে, জমির মুল্য সমপরিমাণ। মসজিদ কমিটি টাকা প্রদান করতে অস্বীকার করলে সে আজ লকডাউনের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে জুম্মার নামাজে পূর্বে ওযুখানটি ভেঙ্গে দেয়। এবং কেউ মেরামতের জন্য এলে তাকে চরম হুসিয়ারি দেন ও অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকেন। এলাকাবাসী প্রশানের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারদাবি করেছেন।
এই বিষয়ে রুহুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ এবিষয়ে কিছুই বলতে চাননা তিনি বলেন এই জমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আমি এটা মসজিদে দিব না।
এবিষয়ে স্থানীয় মেম্বার মোঃ বাতেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে বিষটি জানিয়েছি, এর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিব এবং বিষয়টি মিমাংসা করব।
এদিকে গংগাচড়া থানার ওসি সাহেবের সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এরকম কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা নিব।