বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:
উৎসবমুখর পরিবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব ও জাতীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি জাদুঘরের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম।
সায়েন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা অনেকেই বিজ্ঞানবিমুখ হয়ে গেছে। আমরা যদি এগিয়ে যেতে চাই বা আধুনিক উন্নত সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই তাহলে বিজ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। সে আঙ্গিকে আজকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞানের অনুভবকে ছড়িয়ে দেওয়ার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
বিজ্ঞান মেলায় প্রথমদিন, প্রজেক্ট শো কমপিটিশন, ওয়াল ম্যাগাজিন, সাইন্স অলিম্পিয়াড, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, কেস সলভিং, সাইন্টিফিক স্পিচ, স্কাই অবজারভেশন, তিন মিনিট থিসিস প্রেজেন্টেশনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে।
এবারের প্রজেক্ট শো প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ৩৪ দল। এতে প্রদর্শন করা হয় ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের নব উদ্ভাবন।
মেলার দ্বিতীয় দিন থাকছে, প্রজেক্ট শো কমপিটিশন, রুবিকস কিউব কমপিটিশন, সায়েন্টিফিক পেইন্টিং, রুবিক্স কিউব ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা রয়েছে। মেলার বিভিন্ন ইভেন্টে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১২ শতাধিক বিজ্ঞান প্রেমী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মেলায় স্টল দেওয়া এক ক্ষুদে শিক্ষার্থী বলেন, আমরা একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আবিষ্কার করেছি। এটা তৈরি করতে আমাদের প্রায় ২ সপ্তাহ সময় লাগছে। এটা বাংলাদেশে কী প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা কয়লার মতো পরিবেশ দূষন করে না। তাছড়া বাংলাদেশে বর্তমানে পরিবেশ দূষণ বেড়েই চলছে। তাই আমি মনে করি পরিবেশ দূষণ রোধ করতে এটা খুবই উপকারী।
সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরায়ন আমানা গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফজলুল করিম, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসান।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে নিরলসভাবে বিজ্ঞান প্রচার ও প্রসারে কাজ করছে ক্লাবটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে শুরু হওয়া সায়েন্স ফিয়েস্টা বর্তমানে বিজ্ঞান প্রেমীদের জন্য এক জনপ্রিয় আয়োজন। প্রতিবছর কয়েক হাজার বিজ্ঞানপ্রেমী অংশ নেয় জনপ্রিয় এ সায়েন্স ফিয়েস্টায়।