রাফিউল ইসলাম(রাব্বি) স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর:
রংপুর-০৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে প্রয়াত জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পরিবারের দুই সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে জাপার দলীয় প্রার্থী হয়েছেন এরশাদের ছেলে শাদ এরশাদ, অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহারিয়ার। তাই এ নির্বাচন এরশাদ পরিবারের দুই সদস্যের লড়াইয়ে জমে উঠেছে নির্বাচনি অামেজ। দুই চাচাতো ভাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, দোয়া আর ভোট চাইছেন।
আসনটি দীর্ঘ ২৫ বছর দখলে ছিল এরশাদের। তাই এটি ধরে রাখতে মরিয়া জাতীয় পার্টি। সে কারণেই প্রার্থিতা দেওয়া হয়েছে এরশাদপুত্র শাদকে। কিন্তু এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এরশাদের প্রয়াত ছোট ভাই মোজাম্মেল হক লালুর ছেলে আসিফ শাহারিয়ায়। তিনি ভোটারদের কাছে বলছেন, শাদ বহিরাগত। তিনি কোনও দিন রংপুরে আসেননি। এমনকি এরশাদও কখনোই তাকে সঙ্গে নিয়ে রংপুরে আসেননি। তিনি জাতীয় পার্টির কেউ নন। ভোট শেষে আবারও বিদেশে চলে যাবেন। তাই শাদকে ভোট না দিতে বলছেন তিনি।
এ ব্যাপারে আসিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি রংপুরে স্বপরিবারে থাকেন। তাদের পৈত্রিক বাড়ি স্কাইভিউতে। নগরবাসীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। জনগণ শাদকে চেনে না। সে যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেটা জনগণ বিশ্বাস করতে চায় না। শাদকে বহিরাগত আখ্যায়িত করে তিনি জানান, জনগণ তাকে আগে কখনও দেখেনি। তাকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বলে মনে করে না ভোটাররা। তাই বিপুল ভোটে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। লাঙ্গল প্রতীকের মর্যাদা নষ্ট হয়েছে একজন বহিরাগত প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে। সে কারণে ভোটাররা এরশাদ পরিবারের সন্তান হিসেবে মোটরগাড়িতেই ভোট দেবে।’
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাদ এরশাদ জানান, আসিফ তার ভাই। তিনি নির্বাচন করতেই পারেন। এ বিষয়ে তার বলার কিছু নেই। শুধু বড় ভাই আসিফ নয়, সব প্রার্থীকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন। এ ব্যাপারে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে, রংপুর মহানগর জাপা সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসিরসহ মহানগর জাপার অধিকাংশ নেতাকর্মী এখন পর্যন্ত শাদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। সিটি মেয়র মোস্তফা অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, শাদকে মনোনয়ন দিলে তিনি তার পক্ষে কাজ করবেন না।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০