রাবি প্রতিনিধি :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেওয়া বক্তব্যের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী মানববন্ধন করে তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন, তাঁদের ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি’ বলেছেন সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
আজ রোববার বিকেল পৌনে চারটার দিকে নগরের হড়গ্রামে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ‘একপক্ষীয়’ ও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মানববন্ধন করে তারা এ ঘোষলা দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে করা সংবাদ সম্মেলনে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘আমি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে ছিলাম। সেখানে আমার দাবি ছিল, কর্মবিরতি করেন, তবে জরুরি চিকিৎসা চালিয়ে যান। আরেকটা দাবি ছিল—মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর লাশের ময়নাতদন্ত করা। এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ১০ দিন পর হলেও এটা করতে হবে। এসব দাবি করার কারণে আজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির ব্যক্তিরা নানা ধরনের রাজনৈতিক দলে ঢুকে আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমি কি অবাঞ্ছিত হব? রাকসু ভবনে ভিপির তালিকা থেকে আমার নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। আমার নাম এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুছে দেওয়া কি সম্ভব? এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস যদি কেউ লেখেন, আমার নাম লিখতেই হবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কথা বলেছেন দাবি করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১০ বছরে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধীরা এর পেছনে আছে। এই হত্যাও এর ধারাবাহিকতা। সামনে নির্বাচনের আগে সেই ধারাবাহিতা শুরু হয়েছে। আমি সেই জন্য বলেছি, লাশের ময়নাতদন্ত করা হোক।’