ঢাকাসোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

শেরপুরে নতুন করে ১০ ইউনিয়ন প্লাবিত, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ০৭

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
৭ অক্টোবর ২০২৪, ৩:২২ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের চারটি পাহাড়ি নদীর উজানে পানি কমতে শুরু করলেও ভাটি এলাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে বন্যার পানি ঢুকেছে শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে। এ নিয়ে জেলার পাচঁ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীতে বন্যার পানিতে ডুবে দুই ভাইসহ এ পর্যন্ত মারা গেছে ছয় জন।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৬), নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের দুই ভাই আলম (১৭) ও হাতেম (৩০), বাঘবেড় বালুরচরের ওমেজা বেওয়া পানিতে ডুবে মারা গেছেন। এ ছাড়া ঝিনাইগাতীর সন্ধাকুড়া থেকে একজন উদ্ধার হয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিএনপি, জামাত ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চললেও পানির প্রবল স্রোত আর পর্যাপ্ত নৌযানের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর নাকুগাঁও পয়েন্টে পানি ১ সেন্টিমিটার, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার এবং চেল্লাখালীর ২৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি এখনও বিপৎসীমার সমান রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, মৃগী ও দশানী নদীর পানি।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন, গতকাল শনিবার রাত থেকে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। নকলা পৌরএলাকাসহ উপজেলার গোটা নকলা উপজেলাই প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ঘরের চালে, সিলিংয়ে ও মাচায়।

বন্যায় বাড়ি–ঘর ডুবে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসা এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তিন দিন যাবৎ বন্যা হলেও এখনও ত্রাণ পাননি তারা। এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে ৭ জন। এ ছাড়াও নিখোজ রয়েছে অনেকে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানিয়েছে, শেরপুর নাকুগাঁও স্থলবন্দর স্থবির হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জেলার অধিকাংশ সড়ক। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য গ্রামীণ পাকা ও কাঁচা সড়ক। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন ও উঠতি আমনের খেত। বিভিন্ন স্থানে বানের পানিতে ধসে ও ভেসে গেছে কাঁচা ঘর-বাড়ি। পানিতে ভাসছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র। এসব এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কিছু আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও তা অপর্যাপ্ত।

তবে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাকিবুজ্জামান খান বলেন, আগামীকাল সোমবারের ভেতর কমবে সব নদীর পানি, উন্নতি হবে বন্যা পরিস্থিতির।

জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত জেলার সাড়ে ৩৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। সাড়ে ৯ শ হেক্টর জমির সবজির আবাদ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

84 Views

আরও পড়ুন

শান্তিগঞ্জে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে সংকেতহীন স্পিড ব্রেকার,দূর্ঘটনার আশঙ্কা

বুটেক্স শিক্ষার্থীদের উপর ঢাকা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের হামলা, আহত অর্ধ শতাধিক

পাঠকের অনুভূতিতে ❝কলিজার আধখান❞

অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে বিএনপি সন্দেহ করছে–ড. হুমায়ুন কবির

বিশ্বরূপ চন্দ্র বিশ্বাসের কবিতা:- হাসি

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণসংবর্ধনা ও কাউন্সিল শুক্রবার

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণ সমাবেশ সফল করার লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

আইডিইবির ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

দোয়ারাবাজারে এফআইভিডিবি’র স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ

বোয়ালখালীর নব যোগদানকৃত শিক্ষা অফিসার হারুন উর রশীদকে বরণ

জামালপুরে মৃত আইনজীবী হলেন অতিরিক্ত জিপি