ফরহাদ আমিন:
কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে।সোমবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল সেন্ট্রাল রির্সোট এর সম্মেলন কক্ষে দু’দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এরআগে সকালে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিং টুই এর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্পিড বোট যোগে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে এসে পৌছান ।পরে তারা বৈঠকে যোগ দেন। প্রায় সাড়ে সাত ঘন্টা ব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজেদুর রহমান নেতৃত্বে১২ সদস্য প্রতিনিধি অংশ নেয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তর দেন-বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.সাজেদুর রহমান।এসময় তার সঙ্গে ছিলেন-ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্ণেল মুরাদ জামান,সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো.মনজুরুল হাসান খান,লে.কর্ণেল মো. আসাদুজ্জামান,লে.কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ,স্টাফ কর্মকর্তা লে.কর্ণেল সরকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান,স্টাফ কর্মকর্তা লে.কর্ণেল মো.তাজুল ইসলাম,কমান্ডিং কর্মকর্তা লে.কর্ণেল জাহিদুর রহমান,২বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো. ফয়সল হাসান খান ও অতিরিক্ত পরিচালক মেজর রবায়াৎ কবীর প্রমূখ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে বিফ্রিংয়ে রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাজেদুর রহমান বলেন,উভয় দেশের মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা,ইয়াবাসহ সবধরনের মাদক,মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে ঐক্যমত পোষন করেন। দু দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি খেলাধুলার আয়োজন নিয়েও কথা হয়।এসব বিষয়গুলো নিয়ে দুদেশের মধ্যে একটি সমঝোতার স্বাক্ষর করা হয়েছে।মিয়ানমার সীমান্ত কাটাতাঁরের বেড়া থাকার পরও কিভাবে ইয়াবার চালান বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসছে এমন, প্রশ্নের জবারে তিনি বলেন,সেদেশে বিদ্রোহী গোষ্ট্রী ইয়াবা পাচারে জড়িত,ইয়াবার টাকা তারা অবৈধ অস্ত্রসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন।মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার ঠেকাতে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হলে, মিয়ানমার কতৃপক্ষ সহযোগিতার আশ্বস্ত করেন এবং তাই মিয়ানমারেও ইয়াবা বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন,সীমান্তে গুলি বষণ ও মাইন বিস্ফোরণে বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতাসহ সন্ত্রাসী গ্রুপের কার্যক্রম বন্ধে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে সম্মত হয়েছেন।তবে তাদের সীমান্তে কোনো ধরনের মাইন স্থাপন করা হয়নি বলে অস্বীকার করেছেন।