ঢাকাসোমবার , ২০ অক্টোবর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

হারিয়ে যাচ্ছে দেশী গাব গাছ!!

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১২ মার্চ ২০২১, ৩:২৬ অপরাহ্ণ

Link Copied!

অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনঃ

মহান আল্লাহর সৃষ্টি অনেক সুন্দর। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সবই আল্লাহর অশেষ দান। আল্লাহতায়ালা মানুষের প্রয়োজনেই প্রকৃতির নানা উপাদানের সৃষ্টি করেছেন। মানুষ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। প্রকৃতিকে মানুষ ভালো বাসে। প্রকৃতির মাঝে মানুষের বসবাস। এই প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে কবি লেখেন প্রেমের কবিতা, গীতিকার লেখেন গান। প্রকৃতির নান্দনিকতায় হারিয়ে যায় রোমান্টিক মানুষ। প্রকৃতির অলংকার ও অনন্য এক সৃষ্টির নাম গাব গাছ। একসময় আমাদের দেশের গ্রাম-গঞ্জের সর্বত্রই দেশী গাব গাছ দেখা যেতো। বর্তমানে দেশী গাব গাছ যেন প্রায় বিলুপ্তির পথে। বিভিন্ন এলাকায় এখনো পুরাতন দেশীয় অনেক গাব গাছ কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। গাব গাছের কচিপাতা দেখতে দারুণ লাগে । গ্রীষ্মকালে গাব গাছের কচিপাতা দেখে মনে হয় প্রকৃতি যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে। এ সময় গাব গাছের কচিপাতা দেখে মনে হয় শিল্পীর তুলিতে আকাঁ কোন নতুন ছবি। নতুন গজানো পাতার ছবি দেখে মনে হয় – রঙেরা হেসে হেসে , নেচে নেচে খেলা করছে। গাব গাছের কচিপাতারা যেনো রঙিন শাড়ী পড়ে হাতছানি দিয়ে প্রকৃতি প্রেমিকদের ডাকছে। অনেক সময় বনে-জঙ্গলে প্রাকৃতিকভাবে গাব গাছ জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠে। বর্তমানে সখ করে দেশী গাব গাছ লাগানোর প্রবনতা খুবই কম। তবে বর্তমানে বিদেশী গাব গাছ লাগানোর দিকে ঝুঁকছে মানুষ । বিদেশী গাব গাছ দেশী গাব গাছের মতো এত বড় হয়না। বিদেশী গাব অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু। এর চাহিদা ও অনেক। দেশি গাব গাছের কাঠ ঘরবাড়ি তৈরির কাজে লাগানো যায়। গাব একটি অতি পরিচিত দেশী ফল। গাব ফলে রয়েছে পুষ্টি ও ঔষধিগুণ।
দেশী গাব একপ্রকার সপুস্পক উদ্ভিদের ফল। গাবের আদি জন্ম স্থান ফিলিপাইন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। সংস্কৃত ভাষায় গাবের নাম’ তিন্দুকা ‘, হিন্দি ভাষায় এর নাম’ গাব’, তামিল ভাষায় ‘তুম্বিকা ‘।
দেশী গাবের ভেরটা আঠালো ও চটচটে হয়। এতে কষ্টি কষ্টি ভাব বেশি থাকে। তাই দেশী গাব তেমন খাওয়া হয়না। তবে ভেষজ চিকিৎসায় গাবের ছাল কচিপাতার ব্যবহার দীর্ঘ দিনের। মাছ ধরার জাল শক্ত ও টেকসই করতে গাবের কষ ব্যবহার করতে দেখা যায়।দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাব গাছের পরিচয়ে অনেক স্থানের নামকরণ করা হয়েছে। ঢাকার গাবতলী, নরসিদী শহরের গাবতলী মাদ্রাসা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বেশী ঘন কালচে সবুজ রঙের পাতা বেশি থাকায় গাবগাছে উঠতে অনেকের মাঝেই একটু ভয় ভয় ভাব হয়। গা শিহরিত হয়ে উঠে। গাব ফলে রয়েছে পুষ্টি ও ঔষধি গুণ। গাব শারীরিক দুর্বলতা কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্ত চলাচলে সহায়তা করে, হাইপার টেনশন কমায়, হজমে সহায়তা করে, ত্বকের যত্নে ও ক্যান্সার প্রতিকারে সহায়তা করে বলে জানাযায়। ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা ও পাকা গাব উপকারী। গাবের পাতা সিদ্ধ করা কাথ চর্ম রোগ সারাতে সাহায্য করে।

মোঃ শামসুল হুদা লিটন
সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও গবেষক

2,124 Views

আরও পড়ুন

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ঘেরাও

শান্তিগঞ্জে হাওর বাঁচাও আন্দোলন’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন,নব নেতৃত্বে আবু সঈদ,আওলাদ,নজরুল

দোয়ারাবাজারে বিএনপি’র লিফলেট বিতরণ ও গণসমাবেশ

সেঞ্চুরিয়ান লিও ক্লাবের উদ্যোগে দিনভর সেবামূলক কার্যক্রম

এলাকায় উত্তেজনা..
মাদারীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর আহত,

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র যেন লালবাগ কেল্লা তাও দিনে দিনে বাড়ছে এর প্রবেশমূল্য

দোয়ারাবাজারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

টেকনাফে মাদক সম্রাট জুবাইরের বসত বাড়িতে৮ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ইয়াবা,দেশীয় অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ আটক-২

জিপিএ ৫ ভবিষ্যৎ নির্ধারণের একমাত্র মাপকাঠি নয় – জুবায়েদ মোস্তফা

জিপিএ ৫ ভবিষ্যৎ নির্ধারণের একমাত্র মাপকাঠি নয় – জুবায়েদ মোস্তফা

জিপিএ ৫: পরিশ্রমের প্রতিবিম্ব, তবে ভবিষ্যৎ গড়ার মানদণ্ড নয় – জুবায়েদ মোস্তফা

শান্তিগঞ্জে সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের ইউনিয়ন কমিটি গঠন ও ত্রাণ বিতরণ

এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত তালহা জোবায়ের সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট হতে আগ্রহী