মুহা. ইকবাল আজাদ, ক্রীড়া প্রতিবেদক।
জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম কিছুদিন আগে একটি দাতব্য ফাউন্ডেশন খুলছেন। ‘এমআর-১৫’ নামে নামকরণও করেছেন। তবে ফাউন্ডেশনের লোগো তৈরিটা বাকি রেখেছেন। গত ২৬ মে, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৫ বছর পূর্তির দিনে লাইভে এসে চমক দিয়েছেন। ভক্তদের কাছে নিজ ফাউন্ডেশন এর লোগো ডিজাইন আহবান করেছেন। প্রায় ১৭০০ ডিজাইন থেকে শীর্ষ ৫টি ডিজাইন নির্বাচন করেছেন। তাতে বিজয়ী হয়েছেন পুরান ঢাকার ফ্রিল্যান্সার ইয়াসিন সিদ্দিক আসিফ।
লম্বা সময় ধরে অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ করেন আসিফ। পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংকেই বেছে নিয়েছেন। দেশ বিদেশে নানান কাজ করে সুনাম বয়েছেন। তবে মুশফিকুর রহিম ফাউন্ডেশনের লোগোটি পেশা হিসেবে নয় বরং ভালোবাসার খাতিরেই করেছেন। আসিফ নিউজভিশনকে বলেন, “মুশফিককে আমি ছোট বেলা থেকেই খুব ভালোবাসি। প্রিয় মানুষের একটি ডিজাইন প্রয়োজন, নিজে ডিজাইনার হয়ে কিভাবে চুপ থাকি? নির্বাচিত হতে নয়, বরং মুশফিক ভাইয়ের আহবানে সাড়া দিতে কিংবা শখের বসেই এই কাজটি করা।”
মুশফিকুর রহিম ফাউন্ডেশনের লোগো ডিজাইনের আহবানে এগিয়ে এসেছেন বড় সংখ্যার ডিজাইনার। এদের মধ্যে ৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এদের প্রত্যেকেই আবার মুশফিকের সাথে নৈশভোজের নিমন্ত্রণ পাবেন বা পেয়েছেন। তবে সেরা ডিজাইনার ইয়াসিন আসিফের জন্য থাকবে আলাদা উপহার। মুশফিকের টি-শার্টের সাথে থাকবে অটোগ্রাফের বাহার। নিজের এমন অর্জনে অনেকটা চমকিত আসিফ।
তিনি বলেন, “কখনো বিশ্বাস করিনি আমি নির্বাচিত হবো। বাংলাদেশের এতসব গ্রাফিক্স ডিজাইনারের ভীড়ে নিজেকে তুচ্ছই মনে হয়। কিন্তু যখন দেখলাম আমি বিজয়ী হয়েছি, খুশিতে আমার পৃথিবী মনে হয় স্তব্ধ হয়ে গেছে। হয়তো এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা অর্জন।”
নিজের ফাউন্ডেশনের লোগো ডিজাইনের প্রতিযোগিতায় ভক্তদের অভাবনীয় সাড়া পেয়ে খুবই খুশি ‘মুশি।’ ভক্তদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, “অনেক বছরের স্বপ্ন, আমার ফাউন্ডেশনের লোগো প্রকাশ করতে পেরে দারুণ আনন্দিত। চমৎকার সব লোগোর নকশা জমা পড়েছিল এ সময়ে। অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ। যদিও সেরা পাঁচটি লোগো এখান থেকে আমাকে বেছে নিতে হয়েছে, কিন্তু যারা এখানে অংশ নিয়েছেন তারা সবাই আমার চোখে জয়ী। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”
প্রসঙ্গত, ‘এমআর-১৫’ এর লোগো ডিজাইন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ইয়াসিন সিদ্দিক আসিফ ছাড়াও বাকি চারজন হলেন- আসিফ মাহমুদ খান, রবিউল আলম, সাইফুল ইসলাম শামীম এবং সুবর্ণা সাজ্জাদ সুইট। নিশ্চয়ই তারা স্বপ্নকে বাস্তবে পরিনত করেছেন। দেশের তারকা খেলোয়াড়ের সাথে এখন পাঁচ তারকা হোটেলে আড্ডার প্রহর গুনছেন।