রাকিবুল আওয়াল পাপুল,
শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
আগামি ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিবদমান আওয়ামী লীগ ও সমমনাদের সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত প্যানেল এবং বিএনপি ও সমমনাদের সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত প্যানেলের তরফ থেকে পাল্টাপাল্টি সম্মেলন হওয়ার পর থেকে ওই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বিকেলে শহরের বটতলা এলাকায় সমন্বয় পরিষদ মনোনীত মোখলেস-মুন্না প্যানেলের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ নির্বাচনে ঐক্য পরিষদ মনোনীত মুরাদ-হীরা প্যানেলের পরাজয় নিশ্চিত ভেবে তারা নানা ষড়যন্ত্র ও প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানে হুইপ আতিউর রহমান আতিকের একটি বক্তব্যকে বিকৃত করে আইনজীবী সমাজসহ বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে করা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।
মূলতঃ অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবুল মানসুর স্বপন। ওইসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু, সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম ভাসানী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু।
এর আগে দুপুরে পাশাপাশি এলাকায় ঐক্য পরিষদ মনোনীত মুরাদ-হীরা প্যানেলের তরফ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সমন্বয় পরিষদের তরফ থেকে নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, প্রভাব বিস্তার ও গোলযোগের চেষ্টা করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিতের অপপ্রয়াস চলছে। এতে আইনজীবী ভোটারদের মাঝে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে সংশয় দেখা দিয়েছে। ওইসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট আবু জার গাফফারী, সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব, সভাপতি প্রার্থী এ্যাডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এএইচএম নুরে আলম হীরা প্রমুখ।