গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে বরিশাল ক্লাবের সভাপতি পদ দখল, বেআইনী ও অবৈধ কাজ এবং পদ না ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ায় সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ক্লাবের এক সদস্য।
বহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী আজাদ রহমান।
আজাদ রহমান জানান, আদালতের বিচারক মো. হাসিবুল হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. বায়জিদ বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়েছেন। মামলার নম্বর পড়েছে। মামলার বাদী মফিজুর রহমান চৌধুরী বরিশাল ক্লাবের ৪৬২ নম্বর সদস্য। তিনি নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা আমতলা এলাকার মৃত মনু চৌধুরীর ছেলে। বিবাদী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল ক্লাবের সভাপতি ও তার সদস্য নম্বর- ৬৭৬।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, ক্লাবের একটি গঠনতন্ত্র রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর বার্ষিক সাধারণ সভা হবে। সভায় ক্লাবের স্থায়ী ও আজীবন সদস্যদের ভোটে সভাপতি ও ১০ পরিচালক নির্বাচন করা হবে। এছাড়া ক্লাবের সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হলে সদস্য পদের মেয়াদ ১০ বছর পূর্ণ হতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সভাপতি সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ২০১৬ সালের ২০ অগাস্ট সদস্য হয়েছেন। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০২৬ সালের ১৯ আগস্ট তিনি সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। কিন্তু সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ গঠনতন্ত্রের ধারা লঙ্ঘন করে ২০১৯ সালের ৮ মার্চ সভাপতির পদ দখল করেন।
পাশাপাশি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে থাকার জন্য ক্লাবে দুটি রুমের ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়াও ক্যাফেটারিয়ায় বিল পরিশোধ না করায় কোটি কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। যার দায়ভার ক্লাবের সব সদস্যদের বহন করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মামলার বাদী মফিজুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করেন। বিভিন্ন সময় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করে বেআইনী ও অবৈধ কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য এবং পদ ছেড়ে দেওয়ার অনুরাধ করা হয়েছে। কিন্তু গত ৭ জুলাই পদ ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করা হয়েছে বলে বাদী উল্লখ করেছেন।
মামলায় সেক্রটারিকে ২নং বিবাদী উল্লখ করা হলেও তার নাম ও তার বিরুদ্ধ কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।