ঐতিহাসিক যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল দক্ষিণ স্পেনের আলমোনাস্তের লা রিয়াল নামের সেই ছোট্ট গ্রামে—সেখানে এখনো টিকে আছে এক প্রাচীন আন্দালুসীয় মসজিদ।
অন্ধকার নেমে এসেছে স্পেনের আন্দালুসিয়ার প্রাচীন এক পাহাড়ি গ্রামের আকাশে। ছোট্ট এক ঘরে বসে এক যুবক তার হাতে ধরা খাতায় কিছু লিখছেন। চারদিকে স্তব্ধতা, কেবল কলমের খসখস শব্দ শোনা যায়। আজ তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন—স্পেনের রাষ্ট্রীয় একটি কঠিন পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। লিখছেন প্রতিজ্ঞা, ‘যদি আমি এই পরীক্ষায় পাশ করি, যদি আমার পরিবারকে সাহায্য করার সুযোগ পাই, তাহলে আমি ইসলাম গ্রহণ করব এবং একদিন ঘোড়ার পিঠে চড়ে হজ পালন করব। যেমনটা করতেন আমার পূর্বপুরুষ আন্দালুসিয়ান মুসলিমরা।’
এই ব্যক্তির নাম আব্দাল্লাহ রাফায়েল হারনান্দেজ মানচা। পেশায় ইতিহাস ও ভূগোলের শিক্ষক। বছর কেটে গেছে অনেক, কিন্তু প্রতিজ্ঞা তিনি ভুলে যাননি। পাশ করেছেন পরীক্ষায়, পেয়েছেন সম্মানজনক চাকরি। জীবনের দায়িত্বগুলো একে একে পূর্ণ করে একসময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
আর অবসর নেওয়ার পর শুরু করেন জীবনের সবচেয়ে বড় অভিযানের প্রস্তুতি—ঘোড়ার পিঠে চড়ে স্পেন থেকে মক্কার পথে হজে যাওয়া।
২০২৪ সালের অক্টোবরে শুরু হয় সেই ঐতিহাসিক যাত্রা।
তিনি একা ছিলেন না। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু আবদেলকাদের হারকাসি আইদি এবং তারেক রদ্রিগেজ।
এরা কেউ পেশাদার ঘোড়সওয়ার ছিলেন না। কিন্তু তাদের হৃদয়ে ছিল স্বপ্ন, বিশ্বাস আর পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যকে আবারও জাগিয়ে তোলার এক প্রবল তৃষ্ণা।
প্রায় ৬,৫০০ কিলোমিটার পথ তারা অতিক্রম করেছেন ঘোড়ায় চড়ে। সময় লেগেছে সাত মাস। স্পেন থেকে শুরু করে পাড়ি দিয়েছেন ফ্রান্স, ইতালি, বলকান অঞ্চল, তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডান হয়ে সৌদি আরব। এই দীর্ঘ যাত্রা চলাকালে বাঁধা হয়ে এসেছিল ঝড়-বৃষ্টি, পাহাড় আর মরুভূমির নিষ্ঠুরতা।
প্রথমদিকে তাদের সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ মেসবাহি নামের আরও একজন। কিন্তু একটি পশুচিকিৎসকের পরামর্শে দুইটি ঘোড়াকে অবসরে পাঠাতে হয়, ফলে মেসবাহিকে যাত্রা মাঝপথেই ছাড়তে হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিশেষ করে ইনস্টাগ্রামে, তারা তাদের এই অসাধারণ হজযাত্রার প্রতিটি ধাপ তুলে ধরেছেন। দর্শনার্থীরা আপ্লুত হয়েছে তাদের সংকল্প আর দৃষ্টান্তে।
যাত্রা শেষে সৌদি আরবে পৌঁছে আবদেলকাদের হারকাসি আইদি সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে বলেন: ‘এটি ছিল এমন এক স্বপ্ন, যা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।”
যাত্রা হলো শুরু
স্পেন থেকে মক্কা পর্যন্ত সেই দীর্ঘ ও ঐতিহাসিক যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল দক্ষিণ স্পেনের আলমোনাস্তের লা রিয়াল নামের সেই ছোট্ট গ্রামে—সেখানে এখনো টিকে আছে এক প্রাচীন আন্দালুসীয় মসজিদ।
‘আমাদের বিদায় জানাতে সেভিয়ার ও হুয়েলভার স্প্যানিশ মুসলিম কমিউনিটি দারুণ আন্তরিকতা দেখিয়েছিল,’ স্মৃতিচারণ করেন হাফ-স্প্যানিশ, হাফ-মরক্কান আবদেলকাদের হারকাসি আইদি।
এই যাত্রার জন্য প্রস্তুতি ছিল দীর্ঘ। চার বছর ধরে তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন খুজেস্তানি বংশোদ্ভূত আরব ঘোড়াদের নিয়ে—এই জাতের ঘোড়াগুলো তাদের অসাধারণ সহনশীলতা, শক্তি ও কঠোর পরিবেশে টিকে থাকার জন্য বিখ্যাত।
‘এরা খুব শক্তপোক্ত ঘোড়া—সহ্যশক্তি অনেক, প্রাকৃতিকভাবে কঠিন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে,’ বলেন হারকাসি আইদি।
কঠিন পথ
কিন্তু বাস্তবতা ছিল কষ্টকর।
‘আমাদের কাছে তেমন টাকা-পয়সা ছিল না। যাত্রার শুরুতে আমরা প্রত্যেকে ১,৫০০ ইউরো করে যোগাড় করেছিলাম। কিন্তু স্পেনের উত্তরে পৌঁছাতেই টাকাগুলো ফুরিয়ে যায়,’—বলতে গিয়ে যেন একটু হাসেন, আবার চোখে ফুটে ওঠে সেই দিনগুলোর কষ্ট।
প্রতিদিন গড়ে ৪০ কিলোমিটার পথ ঘোড়ায় চড়ে পাড়ি দিতেন তারা। রাতে তাঁবুতে ঘুমাতেন, নিজেরাই রান্না করতেন।
ফ্রান্স ও ইতালিতে তারা আশ্রয় নিয়েছিলেন ঘোড়া পালনের জন্য নির্ধারিত সেন্টারগুলোতে। কিন্তু সে পথও ছিল কঠিন।
‘সেখানে রাস্তাগুলো প্রায় সবই পাকা, যা ঘোড়ার জন্য মারাত্মক—কারণ পায়ের সন্ধিগুলোতে প্রচণ্ড চাপ পড়ে,’ বলেন হারকাসি আইদি।
ইতালির ভেরোনায় এক নাটকীয় ঘটনা ঘটে—একজন সৌদি স্ন্যাপচ্যাট ইনফ্লুয়েন্সার, আবদুলরহমান আল-মুতাইরি, হঠাৎ করেই তাদের জন্য একটি কারাভ্যান উপহার দেন।
‘ঠিক তখনই তিনি এগিয়ে এলেন, যখন আমরা স্লোভেনিয়া অতিক্রম করে শীতল ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তে প্রবেশ করছিলাম। তাঁর সহায়তা ছিল সময়ের দাবি পূরণের মতো,’ বলেন হারকাসি আইদি।
যদিও পুরো যাত্রাজুড়ে তারা ঘোড়ায় চড়ে ছিলেন, একটি সহায়তাকারী গাড়ি ছিল সঙ্গে—যেটি বহন করত খাবার, তাঁবু ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস।
‘ঘোড়াগুলোর কাঁধে আমাদের শরীর ছাড়া আর কিছুই ছিল না—শুধু হয়তো একটি পানির বোতল,’ তিনি বলেন।
যখন তারা স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া পার হচ্ছিলেন, চারপাশের দৃশ্য একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল।
‘বাম পাশে পাথুরে পাহাড় আর ডান পাশে সমুদ্র—আমরা জানতাম, পরবর্তী এক সপ্তাহ এই একই দৃশ্য দেখতে দেখতে চলতে হবে,’ বলেন হারকাসি আইদি, যেন পুরোনো সেই চুপচাপ কিন্তু মনভরা দিনগুলোকে আবার অনুভব করছেন।
এই ছিল সেই দুর্দান্ত সফরের এক ঝলক। প্রতিটি পদক্ষেপে ছিল দারিদ্র্য, শীত, ক্লান্তি, সহায়তার আশায় চেয়ে থাকা, আবার অচেনা কারো সহানুভূতিতে নতুন শক্তি পাওয়ার গল্প।
ঘোড়ার টগবগ শব্দের মাঝে বেজে চলেছিল ইতিহাসের পুনর্জাগরণ।
উৎসবের শহর
নিজেদের ঘোড়ায় চড়ে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় প্রবেশের অনুমতি না পেলেও, সেই দেশেই সফরের মোড় ঘুরে যায়।
‘বসনিয়া ছিল প্রথম মুসলিম দেশ, যেটি আমরা পেরিয়ে গিয়েছিলাম,’ স্মৃতিচারণ করেন হারকাসি আইদি। ‘যে শহরগুলো দিয়ে আমরা গিয়েছিলাম, সেখানে একেকটা যেন উৎসবের শহর—বিশেষ করে মোস্তার আর দেশটির রাজধানী সারায়েভো।’
সারায়েভোতে স্থানীয় ইসলামিক নেতারা ঘোড়সওয়ারদের অভ্যর্থনা জানান। মোস্তার থেকে সারায়েভোর পথে তারা বরফে ঢেকে থাকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দেন। এই পর্বে তারা বসনিয়ান ঘোড়া ধার নিয়ে সফর চালিয়ে যান—সেখান থেকেই যাত্রা শুরু হয় সার্বিয়ার পথে।
সারায়েভোতে তাঁরা খুঁজে পান প্রাণবন্ত এক মুসলিম কমিউনিটি, যা তাঁদের বিস্মিত করে।
‘সার্বিয়াতেও আমরা একটা শক্তিশালী, জীবন্ত মুসলিম সমাজকে দেখে অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম,’ বলেন হারকাসি আইদি।
বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকে সার্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর নভি পাজার—একটি বহু-জাতিগোষ্ঠীর শহর, যা মন্টেনেগ্রো, কসোভো ও বসনিয়ার সীমান্তে অবস্থিত এবং ঐতিহাসিক সানজাক অঞ্চলের রাজধানী।
‘ওখানে আমরা অসাধারণ সময় কাটিয়েছি,’ বলেন হারকাসি আইদি।
এরপর তাঁরা পাড়ি দেন বুলগেরিয়া হয়ে তুরস্কে—সেখানে গিয়ে আবার দেখা হয় নিজেদের ঘোড়াগুলোর সঙ্গে।
‘এই ছিল বড় উৎসবের শুরু—কারণ এটি আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছিল পুরনো দিনের হজ কাফেলার কথা, যারা ইস্তাম্বুলে এসে মিলিত হতো,’ বলেন হারকাসি আইদি।
তাদের সংবর্ধনা জানাতে এগিয়ে আসেন তুর্কি জনগণ, স্থানীয় প্রশাসন এমনকি সরকারি মন্ত্রীরাও।
‘আমরা এক উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলাম সেখানে।’
তুরস্কে প্রথমদিন যাত্রা শুরুর দিনই পড়েছিল রমজানের প্রথম দিন।
তারা রোজা রেখেছিলেন, সারাদিন ঘোড়ায় চড়ে কাটিয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় মুসলিমদের সঙ্গে ইফতার ভাগ করে নিয়েছিলেন।
তখন সিরিয়ায়
এরপর আসে এক ঝুঁকিপূর্ণ অধ্যায়—সিরিয়ায় প্রবেশ। শুরুতে সংশয় থাকলেও, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
‘আমরা তাদের বিশ্বাস করেছিলাম,’ বলেন হারকাসি আইদি।
‘সবকিছু ছিল অমসৃণ, ধ্বংসস্তূপে ভরা। আমরা অনেক গল্প শুনেছি, অনেক কষ্টের চিত্র দেখেছি।’
তবু, প্রত্যেক জায়গাতেই তাদের অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।
‘সিরিয়ায় প্রথম বড় উৎসব হয়েছিল যখন বাশার আল-আসাদের শাসন পতনের খবর আসে, আর দ্বিতীয় উৎসব ছিল যখন আমরা সেই দেশের মাটি পেরিয়ে যাই।’
দামেস্কে পৌঁছে তাঁরা ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদে নামাজ পড়েন। এরপর যাত্রা করে যান জেরুজালেম ও জর্ডানে—যেখানে থেমেছিলেন অল্প কিছুক্ষণের জন্য, কিন্তু প্রতিটি মুহূর্ত ছিল উষ্ণ ও হৃদয়ছোঁয়া।
অবশেষে সৌদি আরবে
এরপর তাঁরা ঢুকে পড়েন সৌদি মরুভূমির বুকে—সেই পথ, যা একদিন পাড়ি দিয়েছিল শত শত আন্দালুসীয় কাফেলা…
এবার সেই পথেই ছিল তিন সাহসী ঘোড়সওয়ারের জয়যাত্রা—প্রাচীন ঐতিহ্য আর আধুনিক আত্মত্যাগের অদ্ভুত সম্মিলন।‘সৌদি সরকার আসলে চায় না কেউ এইভাবে ঘোড়ায় চড়ে হজে যাক,’ বলেন হারকাসি আইদি।
তাদের বলা হয়, রিয়াদের একটি শহরে ঘোড়াগুলো রেখে মদিনায় চলে যেতে।
যদিও ঘোড়া চড়ে হজে যাওয়ার স্বপ্নের ইতি টানতে হয়, কিন্তু অভ্যর্থনায় কোনো কার্পণ্য ছিল না।
‘তারা আমাদের ফ্লাইট খরচ দিয়েছিল, আর মদিনায় ফুল দিয়ে বরণ করে পাঁচতারকা হোটেলে রেখেছিল,’ বলেন হারকাসি আইদি—কণ্ঠে একসাথে বিস্ময় আর কৃতজ্ঞতা।
এই সুযোগে কয়েকটি তথ্য দিয়ে রাখছি, পুরনো সংস্কৃতি মেনে এমন হজের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ১৯৭৭ সালে, পাকিস্তানি কৃষক আবদুল কাদির পায়ে হেঁটে হজ পালন করেন। ১৯৯২ সালে, ইন্দোনেশিয়ার মুহাম্মদ আসওয়াদ বাইসাইকেলে হজে যান। আর ২০১৭ সালে, ওমানের হাম্মাদ আল-বাদি উটের পিঠে হজ পালন করেন।
মূল গল্পে ফিরে আসি। এর পরের কয়েক সপ্তাহ তাঁরা সৌদি আরব ঘুরে বেড়ান, স্থানীয় মানুষের সঙ্গে দেখা করেন, গল্প করেন।
তাদের সৌভাগ্য হয় মদিনার আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার, যিনি আবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
এখন তাঁরা মক্কায়, হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনে ব্যস্ত।
এক দীর্ঘ সফর শেষে তাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন সেই পবিত্র ভূমিতে, যে গন্তব্য এক সময় ছিল শুধু একটি স্বপ্ন।
‘আমরা খুবই সৌভাগ্যবান ও আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত বলে মনে করি নিজেকে,’ বলেন হারকাসি আইদি।
“এই সফর সম্ভব নয়—এটা শুধু আল্লাহর সহায়তায়ই সম্ভব হয়েছে।”
তাঁদের আরেকটি বড় গর্ব—স্পেনের মুসলিমদের প্রতিনিধি হওয়া।
‘আমরা গোটা বিশ্বের সামনে স্পেনের মুসলিম সমাজকে তুলে ধরেছি,” বলেন তিনি।
‘এটা শুধু আমাদের নয়, গোটা স্পেনের জন্য একটা গর্বের বিষয়।”
এই সফর এক নতুন ইতিহাস লিখে গেল ঘোড়সওয়ারদের দুনিয়ায়ও।
‘যারা ঘোড়া নিয়ে কাজ করেন, তারা জানেন—ঘোড়া কতটা নাজুক প্রাণী,’ বলেন হারকাসি আইদি।
‘সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার পথ, ছয়-সাত মাস ধরে… এটা একটা অলৌকিক ব্যাপার।’
তবুও যাত্রার শেষভাগে এসে মিশ্র অনুভূতি।
তারা বিমানে করে ফিরে যাবেন স্পেনে, কিন্তু ঘোড়াগুলো রয়ে যাবে পেছনে।
‘আমার মনে হয়, এটাই গল্পের সবচেয়ে দুঃখের অংশ,’ বলেন তিনি।
‘ওরা (ঘোড়াগুলো) এর থেকেও ভালো কিছুর যোগ্য।’
তবে আশার কথা—তারা পরিকল্পনা করছেন সেই ঘোড়ার রক্তধারা সংরক্ষণের, যারা তাদের পবিত্র ভূমি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে।
পুরো যাত্রা থেকে হারকাসি আইদির সবচেয়ে বড় শিক্ষা—আত্মবিশ্বাস ও ঈমান।
‘যদি ইচ্ছেটা পরিষ্কার হয়, তাহলে প্রতিজ্ঞা করো। কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরো, সহজ সময়ে শুকরিয়া আদায় করো। নিয়ত যদি হয় ভালো, ন্যায়ভিত্তিক আর আল্লাহর ওপর ভরসা থাকে—তাহলে অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যায়।’
সূত্র: দ্য ন্যাশনাল, লাঞ্চগুড, দ্য নিউ আরব, হর্স অন হর্সব্যাক