পানি বন্দী ৫-৭ হাজার মানুষ- তলিয়ে গেছে বাজারসহ রাস্তাঘাট
|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র প্রভাবে লাগাতার ভারী বর্ষণ ও উজানের ভারতীয় পানিতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কে ১০ টি স্থানে পাহাড় ধ্বসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে ১২০ জন পর্যটক আটকা পড়েছে। কাচালং নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে ৩ টি গ্রামের রাস্তাঘাট।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে মঙ্গলবার সকালে ছোট-বড় ১০টি পাহাড় ধ্বসে মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে সাজেক ভ্যালীর ১২০ পর্যটক আটকা পড়ে। টানা ও অতিবর্ষণে পাহাড়ি ঢল নেমে কাচালং নদীর পানি বেড়ে উপজেলার মধ্যমপাড়া, মাস্টারঘোনা, লাইল্যাঘোণার প্রায় ৫-৭ হাজার মানুষ বন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও মারিশ্যা বাঘাইছড়ি সড়কের ৪কিলো, ৮ কিলো, ১২কিলো এলাকায় গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে তা অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে স্থানীয় ২ টি বাজারসহ বহু রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ী, স্কুল-মাদ্রাসা, পুকুর ও কৃষি জমি। যে কারণে সারাদেশের সাথে বাঘাইছড়ি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় সড়ক বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডি সমন্বিতভাবে সড়ক গুলো স্বাভাবিক চলাচলের জন্য কাজ করছে। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মাটি সরিয়ে মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কটিতে সাময়িক যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থার মাধ্যমে ১২০ পর্যটককে উদ্ধার করে।
ঘূর্ণিঝড় রেমল’র প্রভাবে সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করার জানিয়েছে, রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র।
তীব্র ঝড়ো হাওয়ার কারণে জেলার ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ পরিসেবা বন্ধ হয়ে যায়। শহর কেন্দ্রীক বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিসেবা চালু হলেও এ রিপোর্ট জেলার দূর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ পরিসেবা স্বাভাবিক হয়নি।
রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকলের সহযোগিতায় মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কে বিকেল থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। #