ছবি: জিয়ো নিউজ
দুই মাসেরও বেশি সময় পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হল জম্মু-কাশ্মীর। সোমবার থেকে আংশিকভাবে চালু করা হয়েছে মোবাইল পরিষেবাও।
প্রশাসন সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করছে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিদিন জোর গলায় বলছেন, গত দুই মাসে কাশ্মীরিদের গায়ে একটি বুলেটও লাগেনি। কাশ্মীর নিয়ে বিরোধীদের আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে।
এ অবস্থায় সমাজকর্মীদের একটি দল সম্প্রতি সেখান থেকে ঘুরে এসে জানালেন উল্টো চিত্রের কথা। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে তারা জানালেন, ভালো আছি বলতে বাধ্য করা হচ্ছে কাশ্মীরিদের।
শনিবার দিল্লিতে আনুষ্ঠানিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করেন তারা। সরকার যে দাবি করছে তার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই বলে জানিয়েছেন ওই সমাজকর্মীরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভালো আছি বলতে বাধ্য করা হচ্ছে কাশ্মীরিদের। তবে অহিংস পথে প্রতিবাদ জারি রেখেছে তারা। সরকার অনুরোধ করলেও স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে দোকানপাট ও হোটেল বন্ধ রেখে অসহযোগ আন্দোলন চলছে কাশ্মীরে।
চার সমাজকর্মীর দলে আছেন মনোবিদ অনিরুদ্ধ কালা, জনস্বাস্থ্য কর্মী ব্রিনেল ডি সুজা, সাংবাদিক রেবতী লাউল ও সমাজকর্মী শবনম হাসমি। তারা কাশ্মীরে ছিলেন ২৫-৩০ সেপ্টেম্বর, জম্মুতে ৬-৭ অক্টোবর।
তারা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার মধ্যে আছেন- রাজনীতিক, আমলা, গৃহবধূ, স্কুলশিক্ষক, ব্যবসায়ী, ফল বিক্রেতা, ট্যাক্সিচালক, ছাত্র, কবি, চাষি, শিশু, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, ক্যাটারিং ব্যবসায়ী। আছেন পণ্ডিত, শিখ, খ্রিষ্টানরাও।
শ্রীনগর থেকে বারামুলা, অনন্তনাগ থেকে বাদগাম এবং জম্মু সর্বত্র একই প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তারা। দোকানপাট খোলা রাখতে, ঘর থেকে বের হতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের। এর মাধ্যমে তারা যে ভালো আছে, সেটাই প্রমাণ করতে চাইছে সরকার। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ার পরে জম্মুতে মানুষ উল্লাস করছে- এমন একটি ছবি সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হয় বারবার। তবে সেটা অনেকটাই সত্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ‘কাশ্মীরের থেকেও কম সংখ্যক মানুষ জম্মুতে মুখ খুলেছেন। তাদের বাধ্য করা হচ্ছে বলতে যে, তারা খুশি!’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা