ঢাকাশনিবার , ২২ নভেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

সাপাহারে ফ্রুট ব্যাগিংয়ে আম সংরক্ষণ

প্রতিবেদক
admin
১৩ জুলাই ২০২৩, ৪:৪১ অপরাহ্ণ

Link Copied!

আল মামুন , সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

আমের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহার উপজেলা। এই উপজেলায় বিভিন্ন প্রজাতির আম উৎপাদনে অন্যান্য উপজেলাকে ছাড়িয়ে গেছে। যার ফলে সবচেয়ে সেরা আম উৎপাদন করতে কোন ঘাটতি নেই কৃষকদের মাঝে।এরই ধারাবাহিকতায় উৎপাদিত আমগুলো দাগ ও পোকামুক্ত রাখতে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন এলাকার আমচাষিরা। দীর্ঘসময় ধরে সংরক্ষণ সহ রোগবালাইমুক্ত আম উৎপাদনে ফ্রুটব্যাগ বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যার কারনে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যাবহার করে অধিক লাভের মুনাফার আশা করছেন স্থানীয় আমচাষিরা।

আমচাষীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি অনেকটা কীটনাশক সাশ্রয়ী। এছাড়াও পোকামাকড় ও বিরূপ আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমকে রক্ষা করতে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি অবলম্বন করে আম দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায়। এমনকি অসময়ে আশ্বিনা জাতীয় আম ফ্রুট ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে মৌসুমের শেষেও আম বাজারজাত করা যায়। এই পদ্ধতি আম সংরক্ষণ করার একটি উত্তম পন্থা। যা আমের গুণগত মান ও আমের রং তাজা রাখতে খুবই কার্যকর।

এই উপজেলায় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি চলছে বেশ কিছু বছর যাবৎ। প্রাথমিক অবস্থায় হাতে গোনা কয়েকজন আমচাষী এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শ অনুযায়ী বর্তমানে এলাকার বেশিরভাগ চাষী এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। যাতে করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন এলাকার আমচাষিরা। ফ্রুট ব্যাগের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা আমের চাহিদাও বাজারে ব্যাপারী ও ভোক্তাদের কাছে অনেক বেশি। কারণ ফ্রুট ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে আম সংরক্ষণ করা হলে সেই আম থাকে কীটনাশকমুক্ত। পোকামাকড়, বিরূপ আবহাওয়া ও বাইরের ক্ষতিকর কোনও প্রভাব এই ব্যাগের মধ্যে ঢুকতে পারে না। যার ফলে তরতাজা থাকে আম।

উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আম চাষি মাহফিজুর রহমান বলেন, “চলতি বছরে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আমের চাহিদা বেশ লক্ষ্য করা গেছে। আমি আমার বেশ কিছু জাতের আম সংরক্ষণ করার জন্য এই পদ্ধতি ব্যাবহার করছি। ফ্রুট ব্যাগিং করার ফলে আম পোকামাকড় থেকে রক্ষা পায়। এতে আম থাকে বিষমুক্ত। শুধু মাত্র গাছের সামান্য কীটনাশক স্প্রে করলেই হয়। ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি একটু ব্যয়বহুল হলেও আম বিক্রির লাভ থেকে তা পুষিয়ে নেওয়া যায়।”

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, চলতি বছরে এই উপজেলায় প্রায় ১০হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। প্রতিবছর এই অঞ্চলে আমের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারনে প্রতি বছরে এই উপজেলায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ ফ্রুট ব্যাগ বিক্রি হয়। ফ্রুট ব্যাগ মূলত: মাছি পোকা সহ অন্যান্য পোকার আক্রমন থেকে আমকে রক্ষা করে। এছাড়া আমের পচন রোধকল্পে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি খুব ভালো কাজ করে। যার ফলে কৃষকেরা বেশি দামে আম বিক্রয় করতে পারে। আশ্বিনা, আ¤্রপালি ও বারি-৪ জাতের আমে ফ্রুট ব্যাগিং করা যায়।

আরও পড়ুন

চকরিয়া -১ আসনে ছাত্র সালাহউদ্দিন আহমদের বিপক্ষে লড়বেন শিক্ষক মইনুল।

মানুষের কথা বলতে সংসদে যেতে চাই -রিক্সা চালক সুজন

শাল্লায় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি তুরন কান্তি দাস, সম্পাদক জয়ন্ত সেন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চবিতে বিশ্ব ফিলোসোফি উৎসব উদযাপন

চবির ‘চকোরী’র নবীনবরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি বদলের আহবান শিবির সভাপতির

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ

আন্দোলনরত ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে কর্মসূচি ঘোষণা

ড.মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থীতা নিয়ে জামায়াতের বক্তব্য

অনির্দিষ্টকালের জন্য তামীরুল মিল্লাতের টঙ্গী ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা