ঢাকারবিবার , ৬ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

ঐতিহাসিক কাটাখালি যুদ্ধ দিবস আজ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ণ

Link Copied!

রাকিবুল আওয়াল পাপুল,শেরপুর প্রতিনিধিঃ

আজ ৬ জুলাই শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঐতিহাসিক কাটাখালী যুদ্ধ দিবস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এইদিনে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে একই পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাজমুল আহসান, মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেনসহ ১২ জন শহীদ হন।

স্বাধীনতা অর্জনের পর শহীদ নাজমুলের নামে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল, নালিতাবাড়ীতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা্ হয়েছে। শেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতবছর কাটাখালীতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ব্রিজের পাশে শহীদ নাজমুল পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

সরকার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে শহীদ নাজমুলকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করেছে। এর মধ্য দিয়ে ‘অপারেশন কাটাখালি’ ও রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধের সরকারি স্বীকৃতি মিলেছে।

মুক্তিযুদ্ধা ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, ১৯৭১ সালের ৫ জুলাই রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা ডিনামাইট ফিট করে ঝিনাইগাতী-শেরপুর সড়কের কাটাখালি ব্রিজ উড়িয়ে দেন। এ অপারেশনের নেতৃত্বে প্রদান করেন, কোম্পানি কমান্ডার নাজমুল আহসান। সফল অপারেশন শেষ করতে ভোর হয়ে যাওয়ায় এবং দিনের আলো ফুটে উঠায় পার্শ্ববর্তী রাঙ্গামাটি গ্রামে আশ্রয় নেন নাজমুল আহসানসহ মুক্তিযোদ্ধারা। কোথাও বের হওয়া নিরাপদ মনে না করে পরিশ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধারা সেখানেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কিন্তু ওই গ্রামের দালাল জালাল মিস্ত্রী পাক বাহিনীর স্থানীয় হেড কোয়ার্টার আহাম্মদনগর ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের খবরটি পৌঁছে দেন।

এ সংবাদ পেয়ে পাক হানাদার বাহিনী ৬ জুলাই সকালে স্থানীয় রাজাকার, আল-বদরদের সঙ্গে নিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রাম তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে গুলিবর্ষণ শুরু করে। কমান্ডার নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। ওই গ্রামের তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলা মুক্তিযোদ্ধাদের যাওয়ার একমাত্র পথ খোলা ছিল রাঙ্গামাটি বিল। ওই বিলের পানিতে নেমে কভারিং ফায়ার করতে করতে কমান্ডার নাজমুল আহসান মুক্তিযোদ্ধাদের রাঙ্গামাটি বিল সাঁতরিয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। সেখানেই পাক সেনাদের ব্রাশ ফায়ারে কমান্ডার নাজমুল আহসান শহীদ হন। কমান্ডার নাজমুলের লাশ আনতে গিয়ে পাক হানাদারদের গুলিতে তার চাচাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেনও শহীদ হন।

মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে পাক বাহিনী রাঙ্গামাটি গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ জনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন শহীদ হন।

দিবসটি উপলক্ষে শহীদ নাজমুল পার্কে শহীদ নাজমুল আহসানের স্মৃতিস্তম্ভে পূষ্পার্ঘ অর্পন ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।

225 Views

আরও পড়ুন

দোয়ারাবাজার উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আনন্দ ভ্রমণ

জুলাই-আগস্ট ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্তির মাস: হোসেন আলী

সুনামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মধ্যনগর বি.পি.উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন এর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

সেঞ্চুরিয়ান লিও ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা

গাইবান্ধায় প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

কাপাসিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘মনগড়া অপপ্রচার’: শাহপরীর দ্বীপ জেটি ইজারা বিতর্কে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দিলেন জামায়াত নেতা ফারুক

চকরিয়ায় দাঁড়িপাল্লার ব্যাপক গণসংযোগ

ইসলামী আদর্শে বলীয়ান যুব শক্তির বিকাশে গাজীপুরে ঐতিহাসিক যুব সম্মেলন

নাসির উদ্দিন সাথীর অপকর্ম এবং মাই টিভি চ্যানেল দখল