জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন করেনি। তবে আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামীলীগ। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হলেও আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে দেখা যায়। তবে নিরব বিএনপি। নির্বাচনী মাঠে বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
আগামী ১৪ অক্টোবর মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল কাদির (নৌকা) ও জাতীয় পার্টি মনোনীত আব্বাছ মিয়া (লাঙ্গল)। স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুল হক শেরিন (আনারস), সাহাব আলী (টেলিফোন), শওকত আহমদ (চশমা) ও আতাউর রহমান (মোটরসাইকেল) সহ মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সরজমিনে স্থানীয় ভোটাররা বলেন, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মুল প্রতিদ্বন্ধিতা হতে পারে দ্বি-মুখি। তারা হলেন মিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল কাদির (নৌকা) ও উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাহবুবুল হক শেরীন (আনারস)। এ ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামীলীগ।
জানতে চাইলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকে বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশে নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন করেনি। সুতরাং ভোটাধিকার থেকেও আমরা বিরত থাকবো।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল কাদির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য মনে করেই নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমি শতভাগ আশাবাদী বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় হবে। নৌকার বিজয় মানে প্রধানমন্ত্রীর বিজয়। নৌকার বিজয় মানে জনগণ ও উন্নয়নের বিজয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জামাল বলেন, নৌকার বিজয় নিশ্চিতের জন্য দলীয় নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের জনতা দলমত নির্বিশেষে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুল হক শেরীন বলেন, আমি নৌকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে জনগণের চাওয়া পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তবে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ বলেন, এলাকায় নৌকার গণ-জেয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিতের লক্ষে মাঠে কাজ করছেন। নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুল হক শেরীনকে দল থেকে বহিস্কারের জন্য ইতোমধ্যে দলীয় হাই কমান্ডে লিখিত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে মাহবুবুল হক শেরীন টাকা ছিটিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অপ-চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাতেনাতে ধরতে পারলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। #