জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কোনো ধরণের অপরাধে জড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদকের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'গতকাল একটি বিষয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে, সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলে ছাত্রদলের কয়েকজন জোর পূর্বক ওঠার চেষ্টা করে। আন্দোলনে চলাকালীন আমি চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই খোঁজ নিই। জানতে পারি, ছাত্রদলের তিনজন কর্মী, আন্দোলনের সময়ে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের যৌথ মেস বাসা তল্লাশির কারনে মেস ছেড়ে দিয়ে আত্নীয়র বাসায় উঠে ও তাদের টিউশনিগুলোও চলে যায়। তারা ছাত্র আন্দোলনে আহতও হয়েছিলো। আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে হলে গিয়ে তারা একটি ফাঁকা রুমে উঠছিলো। তবে আমি জানার পরে সাথে সাথেই তাদের নেমে আসতে বললে, তারা হল ছেড়ে চলে আসে।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে কোনো ধরণের অপকর্মে জড়ানো যাবে না। কেউ যদি তারপরও এহেন কর্মকান্ডে জড়ায় আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।'
এর আগে গতকাল শুক্রবার পুরান ঢাকার টিপু সুলতান রোডে অবস্থিত শহীদ নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাসে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্টের আগপর্যন্ত হলটিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলো শাখা ছাত্রলীগের চিহ্নিত ক্যাডার গ্রুপ। পরে সরকার পতনের পর তারা পালিয়ে গেলে কিছু শিক্ষার্থী হলটিতে অবস্থান শুরু করেন।
এবিষয়ে অভিযোগ ওঠা শাখা ছাত্রদলের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল বলেন, 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি। এছাড়া ছাত্রদল করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই পুলিশি হয়রানির শিকরা হই বারবার। একারণে আন্দোলনের সময় কোনো মেসে আমি থাকতে পারছিলাম না।
তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। পুরান ঢাকায় মেস ভাড়া দিয়ে পড়াশোনা চালানো আমার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো। একারণে আমি শহীদ নজরুল ইসলাম হলে একটি রুমে অবস্থান নিই। পরে ঝামেলা হলে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা ভাই আমাকে হল ছেড়ে দিতে বললে আমি সাথে সাথে হল ছেড়ে চলে আসি। তিনি আমাকে থাকার ব্যবস্থা ও টিউশনের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০