ঢাকারবিবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আসুক পরিবর্তন শিক্ষার্থীরা ফেলুক সস্তির নিঃশ্বাস ।

প্রতিবেদক
admin
১৯ অক্টোবর ২০১৯, ২:০৭ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

———————
এই.এস.সি শেষ করে আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়েরাই স্বপ্ন পাড়ি জমায় তাদের চূরান্ত গন্তব্যে । কেউ বা পড়তে চায় ডাক্তারিতে আবার কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং আবার কেউ চায় পাব্লিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করতে । এইচ.এস.সি তে থাকা মানবিক,বিজ্ঞান ও ব্যবসা এই তিনটি বিভাগ থেকে আলাদা আলাদা ইউনিটে পরীক্ষা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের ।শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা এম.বি.বি.এস অথবা বি.ডি.এস দিতে পারে সমন্বিত ভাবে। যেখানে পাশ মার্ক হিসেবে ধরা হয় ৪০ নম্বরে । তারপর নম্বর অনুযায়ী প্রথমে সরকারী মেডিকেল কলেজ ও পরবর্তীতে বেসরকারী মেডিকেল কলেজ গুলোতে ভর্তির সুযোগ থাকে ।
এক্ষেত্রে যারা ডাক্তারি পড়তে আগ্রহী তাদের ক্ষেত্রে সমাধান খুব সহজ । তারা একটা পরীক্ষায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে মান যাচাই করে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে কলেজ নির্ধারণ করে দেয়া হয় এবং সেই অনুযায়ী মেডিকেল কলেজে ভর্তী হয় শিক্ষার্থীরা । যদি কোন শিক্ষার্থীর নম্বর অনুযায়ী সরকারী মেডিকেলে চান্স না হয় এবং তার নম্বর যদি ৪০ এর বেশি হয় তবে সে চাইলে নির্ধারিত বেসরকারী মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবে । অর্থাৎ মেডিকেলের ক্ষেত্রে মাত্র একটি পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীরা একটি সমন্বিত ব্যবস্থা পাচ্ছে যার ফলে ভোগান্তির কোন শিকার হতে হচ্ছে না এবং একি সাথে বেঁচে যাচ্ছে এপলিকেশন চার্জ । এই সুবিধার ফাঁকেও রয়ে যায় একটি বড় অসুবিধা । সাধারণত পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে রয়েছে আলাদাভাবে ভর্তিপরীক্ষা যাতে করে দেখা যায় একই ছাত্র এক সাথে ঢাকা ইউনিভার্সিটি তে আলাদা এবং জাহাঙ্গীরনগরে আলাদা পরীক্ষা দিতে পারতেছে । সেক্ষেত্রে যদি কোন শিক্ষার্থীর যদি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তার হাতে এখনো রয়েছ্র বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ । কিন্তু মেডিকেলের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা তেমন কোন সুযোগ পাচ্ছেনা । তাদের ক্ষেত্রে প্রথম বার অকৃতকার্য হলে হাতে সুযোগ হিসেবে থাকবে পরবর্তী বছরে শুধুমাত্র আর একবার ।তবে সেক্ষেত্রেও বাদ যাবে ৫ মার্ক যা একজন মেডিকেলের স্বপ্নবিলাশি শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে একইসাথে চ্যালেঞ্জিং এবং দুঃখজনক । তাই সেক্ষেত্রে যদি মেডিকেলে বছরে দুইটি আলাদা আলাদা পরীক্ষা নেয়া হয় তাহলে মেডিকেলের স্বপ্নবাজরা দেখতে পাবে নতুন আলো । সেক্ষেত্রে যদি সরকারী মেডিকেলের জন্য একটি এবং বেসরকারী মেডিকেলের জন্য আরেকটি পরীক্ষার মাধ্যমে দুইটা আলাদা সমন্বীত পরীক্ষা নেয়া যায় সেক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী দুই দিকেই সমান সুবিধা পাচ্ছে এবং ১টি সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

অপরদিকে রয়েছে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা । বিগত বছরের গতানুগতিক ধারাকে নতুনভাবে রুপান্তরের লক্ষে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আগামী বছর থেকে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন । যদি আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থীরা যদি গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে তবে সুবিধার যেমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে একিভাবে মেডিকেলের মত এখানে থাকতে পারে কিছু অসুবিধার ফাঁক-ফোকর। ধরা যাক একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন সরকারী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করল এবং অকৃতকার্য হল । এখন তার হাতে কিন্তু দ্বিতীয় কোন অপশন থাকছেনা মেডিকেলের মতন । সেই ক্ষেত্রেও কিন্তু বিগত বছরগুলোর প্রথানুযায়ী একটা পরীক্ষার মাধ্যমেই ভেঙে যেতে পারে একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন যা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ।

আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অবস্থান থেক চিন্তা করলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পরার মত অবস্থা অনেকেরি থাকেনা । তাই অর্থনৈতিক এবং সার্বিক বিবেচনায় যদি একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর মান বাছাই এর সুযোগ করে দেয়া হয় সেই ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী দুইভাবেই লাভবান হবে । আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের যারা মানবিক এবং ব্যবসায় বিভাগ থেকে এই.এস.সি তে কৃতকার্য হয় তাদের ক্ষেত্রে প্রথমেই মেডিকেল কলেজ এবং প্রকৌশলি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বিকল্প থাকেনা । স্বাভাবিক ভাবেই তাদের জন্য এই দুইটা মাধ্যমের দরজা বন্ধ । বাকি থাকে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলো । যদি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভর্তি পরীক্ষা একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এনে একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে গুচ্ছ পদ্ধতির তৈরি করা যায় তবে সেক্ষেত্রে একজন ছাত্রের হাতে পছন্দ এবং মেধা বিকাশের দুই ধারার ই সুযোগ থেকে যায় । যেমন ধরা যাক বাংলাদেশের সকল প্রকৌশলি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলদা অনুষদগুলোর জন্য যদি গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় এবং সেখানে উল্লেখ করা হয়ে থাকে যে একজন শিক্ষার্থী দুইটির বেশি অনুষদে এপ্লাই করতে পারবেনা সেই ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দমত অনুষদে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে এবং একটি পরীক্ষার মাধ্যমেই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করতে পারে । এতে করে তার আর্থিক,শারিরীক এবং মানসিক হয়রানীর শিকার কম কম হতে হচ্ছে এবং একি সাথে দুইবার স্বপ্ন সত্যির সুযোগটাও পাচ্ছে ।

ঠিক একই ভাবে যদি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভর্তি পরীক্ষাগুলো অনুষদভিত্তিক গুচ্ছ পদ্ধতিতে হয় তাহলেও একজন শিক্ষার্থী কম ভোগান্তীর শিকার হয়ে মেধা যাচাইয়ের সুযোগ পাচ্ছে । এবং একি সাথে একটি অনুষদ গঠন যা কমন সাব্জেক্ট ধারণ করবে এবং সেখানে সব বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এপলিকেশন করতে পারবে এবং আরেকটি অনুষদ যেখানে তাদের এই.এস.সি এর বিভাগ অনুযায়ী বিষয়গুলো ধারণ করবে । একজন শিক্ষার্থী শুধু দুইটি অনুষদের জন্য আবেদন করতে পারবে এবং এই দুইটি অনুষদের উপরেই শুধুমাত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ।

আমাদের বর্তমান শিক্ষায় কে কতদুর অর্জন করতে পারল তার চেয়ে বেশি ধরা হয়ে থাকে কে কোন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারল । যদি এরকম গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব হয় তবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমান তালেই এগিয়ে যেতে পারবে এবং গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে আসতে পারে । এটা মানতে কষ্টকর হলেও সত্যি যে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় ই এখন আর পূর্বের অবস্থানে নেই । লন্ডনভিত্তিক শিক্ষা বিষয়ক সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন প্রতি বছর বিশ্বের বিশ্ব্যবিদ্যালয়গুলোর যে র‍্যাংকিং প্রকাশ করে যাতে ৯২টি দেশের ১৩শ বিশ্ববিদ্যালয় এর তালিকা অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ এর ১ হাজারের ভেতরেও বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নেই ।

অর্থাৎ আমাদের সময় এসেছে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ব্যবস্থা এবং এর সাথে মিল রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নের দিকেও প্রসার হওয়া। অন্যথায় জাতি হিসেবে শুধুমাত্র শিক্ষার অভাবে পিছিয়ে পড়ব হাজারো বছরের পূর্বের রাস্তা ধরে ।

মুবিন হাসান খান অয়ন,
শিক্ষার্থীঃ জেড.এইচ.সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, শরীয়তপুর

আরও পড়ুন

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো চবি ছাত্রদল নেতা আরিফের জানাজা অনুষ্ঠিত

সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন ডা. মো. নজরুল ইসলাম

প্রাথমিক শিক্ষার সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক হলেন রফিকুল ইসলাম তালুকদার

ইসলামপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও রোকেয়া দিবস পালিত

কুবি ভর্তি পরীক্ষায় দশদিনে আবেদন ৩৩ হাজারের বেশি

চকরিয়ায় মরহুম ওসমান সওদাগরের সহধর্মিনীর জানাজা অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধায় নারী ও কিশোরীর প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে মানববন্ধন

ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

সুন্দরী গাছ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে

শান্তিগঞ্জে শুভ উদ্ভোধন হলো জেলা প্রশাসন ল্যাবরেটরি হাইস্কুল ‎

আনিসুল, আনোয়ারের নেতৃত্বে ২০ দলীয় গণতান্ত্রিক জোট

কক্সবাজারে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ‘Businesses Development Training 2025’ অনুষ্ঠিত