একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ রাতের আঁধারে তাঁর নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। ইতিমধ্যে পাঁচটি গায়েবি মামলা করে অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছেন না।
গতকাল সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মো. লিয়াকত আলী এ অভিযোগ করেন। এর আগে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ–সংক্রান্ত দুইটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেও কোনো সুফল পাননি বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. লিয়াকত আলী জানান, নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থান উল্লেখ করে পুলিশ বিস্ফোরক ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে গায়েবি মামলা করে বিএনপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। পুলিশ ২০৭ জনের নামোল্লেখ ও পৌনে দুই শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পাঁচটি পৃথক মামলা করেছে। গত রোববার রাতেও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে পুলিশ নেতা–কর্মীদের অন্যত্র চলে যাওয়ার বা নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য শাসিয়েছে।
মো. লিয়াকত আলী বলেন, ‘দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ ও স্থানীয় মজিবর রহমান আমার গাড়ির গতি রোধ করে হুঁশিয়ারি দেন, দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রের ভোট জোর করে সিল মেরে নৌকার পক্ষে নেবেন, আমাকে একটি ভোটও দিতে দেবেন না।’ তাঁদের প্রকাশ্য হুমকিতে ওই ইউনিয়নের চর দুর্গাপুরের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি তিনি বাতিল করতে বাধ্য হন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. লিয়াকত আলী আরও বলেন, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী একজন ভদ্রলোক, শান্তিপ্রিয় মানুষ। তিনি নির্বাচন কমিশনের ওপর অনাস্থা এনে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাঁকেও নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে সরকার দলীয় প্রার্থী পুলিশ দিয়ে নানা ফন্দিফিকির করছেন। এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মৃত্যু হলেও তিনি নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিয়াকত আলীর সঙ্গে ছিলেন কালিহাতী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শুকুর মামুদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান তালুকদার, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রিনা বেগম প্রমুখ।