Oplus_131072
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ ঊর্ধ্বমুখী, যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে শান্তির বার্তা দিল তেলআবিব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে এবার ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েল। এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় আরব মিত্রদের মাধ্যমে তেহরানের কাছে শান্তি প্রস্তাব পাঠিয়েছে তেলআবিব।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান এই মুহূর্তে প্রতিশোধপরায়ণ এবং সামরিকভাবে দৃঢ় অবস্থানে থাকায়, ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধ টানতে চায় না। ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় ইসরায়েল ‘নরম কূটনীতি’তে ভর করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি প্রভাবশালী আরব দেশকে ব্যবহার করে ইরানকে একটি বার্তা পৌঁছানো হয়েছে, যাতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বাড়ার আগে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ভূমিকা
যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধে প্রকাশ্যে না জড়ালেও, পর্দার আড়ালে সক্রিয়। একদিকে তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ‘সুনির্দিষ্ট’ হামলা চালাচ্ছে, অন্যদিকে তাদের কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে ইসরায়েলকে “নিয়ন্ত্রণে” রাখার চেষ্টা করছে।
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমরা চাই না এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মধ্যপ্রাচ্য সংকটে রূপ নিক। তাই সব পক্ষকে শান্ত রাখার প্রচেষ্টা চলছে।”
ইরানের অবস্থান
তবে ইরানের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো শান্তি প্রস্তাবের জবাব আসেনি। বরং ইরানি বিপ্লবী গার্ডের একাধিক নেতা ইতোমধ্যে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ইরান সরকারও ইঙ্গিত দিয়েছে, ‘নতুন কোনো হামলা হলে পাল্টা জবাব আরও কঠোর হবে।’
বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল সামরিক যুদ্ধ নয়, এটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধও বটে। ইসরায়েল চায় ইরান যেন আরও আগ্রাসী না হয়। সেইসঙ্গে দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট এবং আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে যুদ্ধের অবসান চায়।
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার এই নতুন পর্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও নজরে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন কূটনৈতিক মহল একে নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছে