ঢাকারবিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি–আমি কি ভুলিতে পারি!

প্রতিবেদক
admin
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

মোহাম্মদ মন্‌জুরুল আলম চৌধুরী।

আমরা কি সত্যিকারভাবে আমাদের ভাইয়ের রক্তের আঁখরে লেখা অমর শহীদ দিবসকে মনে রাখতে পেরেছি। ভাষার জন্যে বিশ্বের কোথাও মানুষকে রক্ত দিতে হয়নি। করতে হয়নি আন্দোলন সংগ্রাম। ভাঙতে হয়নি ১৪৪ ধারার গণ জমায়েত। বাঙ্গালীরা বুকের তরতাজা রক্ত দিয়ে মায়ের বুলি মায়ের ভাষাকে রক্ষা করেছে । বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষার মর্যাদা আর সম্মানকে সমুজ্জ্বল করেছে। এখন সারা বিশ্বে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে। যে দেশের মানুষ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সে দেশে বাংলা ভাষা অনেকভাবে উপেক্ষিত। ভাষাকে বিকৃত করছে। দেশজ কৃষ্টি সভ্যতা ঐতিহ্যকে কুলষিত করছে। ইংরেজি অক্ষর দিয়ে বাংলা ভাষা লিখতে গিয়ে বাংলা ভাষাকে বিজাতীয় ভাষায় রূপান্তরিত করছে। অনেক ক্ষেত্রে তা অশ্লীল পর্যায়ে গিয়ে ঠেকছে।

দেশের সর্ব স্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন এখনো দাবী হয়েই রয়ে গেছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা নিচে বা এককোণে বড় অযত্নে অবহেলায় অপারগতায় সৎ মায়ের ছেলের মতো পড়ে রয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে তা ম্যাগনিফাইয়িং গ্লাস দিয়ে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। লেখাপড়ায় বাংলার উপরে ইংরেজিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা যা বিশ্বের সব প্রান্তে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সে ভাষা শিক্ষা গ্রহণে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। বরং ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় পেছনে পড়ে থাকলে দেশ ও জাতি বিশ্ব দরবারে পিছিয়ে থাকবে। তাই আগে মাতৃভাষা শিক্ষা চর্চা বিকাশ প্রসার প্রচার ঘটাতে হবে। শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞান গবেষণা প্রযুক্তি উদ্ভাবন বুদ্ধিমত্তায় মননশীলতা সৃষ্টিশীলতায় এগিয়ে যেতে হবে মাতৃভাষার মাধ্যমে। বাংলা ভাষাকে অবমূল্যায়ন করে যেখানে ইংরেজিতে কথা বলাকে স্মার্টনেস বলে না এটা হচ্ছে শিক্ষার দেউলিয়াপনা এবং মানবিক অধঃপতন।

একদিনের প্রভাত ফেরি, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া শ্রদ্ধা জানানো, শহীদদের আত্মত্যাগ নিয়ে আলোচনা, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের দাবী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন মেলা, কপোত কপোতীদের ঘুরাফিরা সবকিছু মিলিয়ে দিনটিকে আমরা যেন নিছক একটি দিবসে পরিণত করে না ফেলি। আমরা যেন আমাদের নাড়ীর টান, মাটির টান, মায়ের টান, শেকড়ের টান ভুলে না যাই। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে উজ্জিবনী শক্তি নিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাভাষাকে সুষ্টু সুন্দর এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। শহীদদের রক্তের প্রতি যথাযথ সম্মান মর্যাদা প্রদর্শন করতে হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না শুধুমাত্র একমাত্র বাঙ্গালীরাই ভাষার মর্যাদার জন্য আত্মত্যাগ করেছে। আমরা বিশ্ববাসীর কাছে কৃতজ্ঞ এই কারণে আমাদের অমর শহীদ এবং ভাষা দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে পালন করছি। আসুন দেশ জাতি মানুষকে ভালবাসি এবং সম্মান করি। ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

আরও পড়ুন

জুলাই সনদের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলে স্বাক্ষর করবে এনসিপি

বাড়ছে মাদকের বিস্তার, অনিরাপদ হয়ে উঠছে চবি ক্যাম্পাস

উজানটিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের ২(দুই)সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে চবি ক্যাম্পাসে বাইসাইকেল র‍্যালি

কবিতা:- স্মৃতির রোমন্থন

জোহরান মামদানির বিজয় ও বাংলাদেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং কয়েকটি কথা; প্রেক্ষিত বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন -মোঃ ইমন হোসেন

ফাস্টফুড যখন মরণঘাতি

গার্লফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে রেখে ওয়ার্ল্ড বীচ রিসোর্টে সৌরভ নামে এক পর্যটকের আত্মহত্যা

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. আলী রীয়াজ

নবম ধাপে আল মুসাইদাহ ফাউন্ডেশনের ফ্রি চক্ষু ছানি অপারেশন সম্পন্ন

আওমীলীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব আমরা তুলে নেব : মির্জা ফখরুল

বুটেক্সে দুই দিনের পৃথক ঘটনায় তিনজনের সাময়িক বহিষ্কার ও ছয়জনের অর্থদণ্ড