শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)থেকে::
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বিনা-প্রতিদ্বন্ধিতায় নব-নির্বাচিত হওয়ার পরও মেম্বারের প্রধান গেইটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতিরা।
এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ অক্টোবার (বুধবার) বিকেল সাড়ে ৩টায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরিফ উল্লাহ ছোট্টু দীর্ঘ ২১ বছর জনগনের ভালোবাসায় তিন তিন বার জনগনের নির্বাচিত মেম্বার এবং বতর্মান উপজেলা বিএনপি,র সভাপতি। তার বাড়ীর প্রধান
গেইটটি দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে সবার জন্য। র্নিধিদ্ধায় অত্র এলাকার জনগন প্রতিনিয়ত মেম্বারের সাথে দেখা-সাক্ষাত করতে ২০-২৫ জনের অধিক আসা-যাওয় করতে দেখা যেত।
তবে হঠাৎ প্রধান গেইটে গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে এক যুবক তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যেতে দেখে আমাদের সন্দেহ হয় নির্বাচনি ও রাজনীতির প্রতিহিংসায় এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।
মেম্বারের বড় ছেলে কফিল উদ্দীন জানান, আমার জন্মের পর থেকে দেখে আসচ্ছি প্রতি দিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন মানুষ আসা-যাওয়া করে আমার বড়ীতে । বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার খবরাখবর নিয়ে।
গত বুধবার বিকাল প্রায় ৩ টার দিকে কে বা কারা এসে গেট বন্ধ করে একটি তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে বলে কয়েকজন পথচারি আমার পরিবারকে জানালেন। ঘটে যাওয়া ঘটনাটি কি উদ্দেশ্যে করেছে বোধগম্য নয়। তবে মনে হচ্ছে সাধারণ জনগন আমার বাবা প্রতি ভালবাসা দেখে সহ্য করতে পারছে না।
এই বাড়িটা জনগনের আশ্রয়স্থল এবং ভালোবাসার বাড়ি। এই বাড়ি থেকে জনগনকে দূরে সরানো সম্ভব নয় । এলাকার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করা এবং রাজনীতিকে নোংরা পরিবেশে সৃষ্টি করার জন্য চেষ্টা করলেও জনগনকে বিছিন্ন করা যাবে না।
আরেফ উল্লাহ ছুট্ট জানান, যে সময় তালা ঝুলানো ঘটনাটি ঘটে তখন আমি বাড়ীতে।
দুষ্কৃতিরা যখন তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যেতে দেখে পথচারিরা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাড়ী থেকে বের হয়ে প্রধান গেইটে এসে জানতে পারি গেইটের বাহির থেকে তালা ঝুলিয়ে কে বা কারা পালিয়ে যেতে দেখা যায় বলে কয়েকজন পথচারি জানান।
তাৎক্ষুনিক প্রশাসনকে ফোনে অবহিত করি। তবে এই মূর্হুতে কারো প্রতি দোষ ছাপিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের অনুষ্টিত নির্বাচনে বিনা-প্রতিদ্বন্ধিতায় সদর ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হয়ছেন আরেফ উল্লাহ ছুট্ট।
এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে এস,আই রাজিব ঘটনাস্থলে পরির্দশন করে গেইটে তালা ঝুলানো দেখতে পাই বলে জানান। তদন্ত করে দোষিদেরকে ব্যবস্থা নেও য়ার আশ্বাস দেন।
-----------------
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০