শেখ রিপন,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
কৃষি মন্ত্রী ডঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন দেশের দক্ষিণের জেলা সাতক্ষীরা। এখানে লবণাক্ততার প্রভাব আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখানে আরো লবণাক্ততা বাড়ছে। তারপরেও আমাদের কৃষি গবেষকরা উচ্চ ফলনশীল গ্রীষ্মকালীন টমেটো জাত উদ্ভাবন করে সাফল্য পেয়েছেন। এখানকার কৃষকরা এটা চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। টমেটা চাষ খুবই লাভজনক চাষীদের সাথে কথা বলে জেনেছি। ১ বিঘা জমিতে এক লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রি করছেন। আমাদের যুব সমাজ বিপদগামী হয়ে যাচ্ছে, মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। কিছু কিছু মানুষ বিভিন্ন দলের নাম ব্যবহার করে দুর্বৃত্তপনা করছে। দলের নামে ক্যাসিনো গড়ে তুলছে। সেসকল দুর্বৃত্তদের এই টমেটো ক্ষেতে নিয়ে আসা উচিত। টমেটো চাষ করে যে লাভ করা যায় তাদের সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে হবে। টমেটো আবাদ করে লাভ করা যায়। জেলখানা যেতে হয় না, হাতে হাতকড়া পরতে হয় না সমাজে সম্মান বাড়ে টমেটো চাষ শুধু নগরঘাটা নয় পুরো জেলাব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হবে। আমরা দ্রুত এই কর্মসূচি গ্রহণ করব। এখানকার উৎপাদিত টমেটা সারা দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরা বিদেশেও রপ্তানি করব।
তিনি আরো বলেন টমেটো একটি দামি ফসল, পুষ্টির জন্য এবং লাভের জন্য দেশের মানুষকে টমেটো চাষে আসার আহ্বান জানান তিনি। কৃষি মন্ত্রণালয় সব সময় চাষিদের পাশে ছিল এখনো থাকবে। কৃষকদের সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। এ সময় তিনি বিনাস্বার্থে কৃষকদের ঋণ দেয়ার আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রীষ্ম কালীন টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ১ আসনের এমপি মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের এমপি মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।