মহেশখালী প্রতিনিধি :
বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিশ্বের জন্য এক মহাসংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাগামহীন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। আর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে গ্রিন হাউজ গ্যাসের বিরূপ প্রতিক্রিয়া। কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইডের সমন্বয়ে গঠিত এই গ্যাসের কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।পরো
পৃথিবীর জলবায়ু বিপর্যয়ের কারনে ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ ।
তার ব্যতিক্রম নয় আমরাও । দেশে প্রতিযোগিতামূলক নদী ভরাটের কারণে সমুদ্রে পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে , একই সথে পালা ক্রমে নির্বিচারে প্যারাবন নিধনসহ নদীর চর থেকে বালু উত্তোলন করে ধ্বংস করা হচ্ছে উপকূল । যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে পুরো উপকূলবাসী।অনুরূপ ভাবে পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীতেও জলবায়ুর প্রভাব দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দ্বীপে নির্বাচারে পাহাড় কর্তন, বন উজাড় এবং বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস করে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে সীমাহীন ভাবে ।অন্য দিকে বাণিজ্যিক ভাবে গুরুত্ব বহনকারী কোহেলিয়া নদী ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে সড়ক । এই নদীর চর দখল করে এবং প্যারাবন নিধন করে চিংড়ী ঘের নির্মাণ করছে প্রভাবশালীরা । যার ফলে কোহেলিয়া নদীটি নাব্যতা হারিয়ে মরছে ধুকে-ধুকে । মানববন্ধনে কোহেলিয়া নদী পুনরুদ্ধারের দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ।
৯ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১১টার সময় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়ায় মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য নির্মিত নতুন সড়কে অনুষ্ঠিত হয় র্যালি ও মানববন্ধন । ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ , কোহেলিয়া নদী রক্ষা কমিটি ও পরিবেশ প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা পরিষদ মহেশখালী এর আয়োজনে উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাপা মহেশখালী শাখার সভাপতি মোছাদ্দেক ফারুকী ।
র্যালি ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোবাইব সজীব , বাপা মহেশখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক , ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর মহেশখালী প্রতিনিধি ও কোহেলিয়া নদী রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব আবু বক্কর ছিদ্দিক, বাপা মহেশখালী আঞ্চলিক শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলো ,নজরুল ইসলাম,আলহাজ্ব মাওলানা সাহাব উদ্দিন, মহেশখালী সপ্ন ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মাষ্টার এমরান সরওয়ার, কোহেলিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল কাদের,রুহুল আমিন রুবেল,নুরুল ইসলাম,সরওয়ার কামাল,টুটুল পারভেজ সহ জেলে,পান চাষি, লবন চাষি বিভিন্ন পেশার লোকজন মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বক্তব্যরা বলেন- জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নারী-পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গ, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু, শিশুসহ সবার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।তাই বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এসকল টেকসই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন না করা গেলে আমাদেরকে অদূর ভবিষ্যতে চরম মূল্য দিতে হতে পারে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।