প্রথমার্ধে আধিপত্য করলেও মজিবুর রহমান জনির সহজ সুযোগ মিসের কারণে গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের লাগাম চলে যায় ভারতের কাছে। তবে তারাও গোলের দেখা পাননি। হামজা চৌধুরীর অভিষেক ম্যাচে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে সন্তু্ষ্ট থাকতে হলো গোলশূন্য ড্র নিয়েই।
এই ড্র বাংলাদেশের জন্য একদিকে স্বস্তি, অন্যদিকে আক্ষেপ। ভারতের মাঠে পয়েন্ট পাওয়া ইতিবাচক, কিন্তু এত সুযোগ পেয়েও গোল করতে না পারায় হতাশারও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জওহরলার নেহরু স্টেডিয়ামে ম্যাচের মাত্র ৩১ সেকেন্ডে প্রথম সুযোগটি এসেছিল মজিবুর রহমান জনির সামনে। ভারতীয় গোলরক্ষকের ভুল পাস পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। কিছুক্ষণ পরই আবার সুযোগ পান জনি, তবে এবারও ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন।
এরপর ইমন ও হৃদয় মাথায় হাত দিতে বাধ্য হন সহজ সুযোগ নষ্টের কারণে। ইমন হেড থেকে গোল করতে পারেননি, আর হৃদয়ের শট লক্ষ্যে থাকলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণে আটকে যায়।
বাংলাদেশ পুরো প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে, মাঝমাঠের দখলও ছিল বেশি। কিন্তু ভারত বেশ রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়েই খেলেছে। মাঝেমধ্যে আক্রমণে উঠলেও বাংলাদেশের ডিফেন্স সহজেই প্রতিহত করেছে প্রতিপক্ষের প্রচেষ্টা।
বাংলাদেশের জন্য প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে তপু বর্মনের চোটে। অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারকে মাঠ ছাড়তে হয় ম্যাচের শুরুতেই।
প্রথমার্ধে আধিপত্য করা বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের লাগাম হারিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা জুড়েই বাংলাদেশের রক্ষণভাগে কাঁপুনি ধরিয়েছে ভারত। ৫৭ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে হেড পেয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। তবে হামজার ট্যাকেলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ। ৬০ মিনিটে অবশ্য সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশও। জনির বাড়ানো বল একটুর জন্য পাননি রাকিব।
৭১ মিনিটে ম্যাচের সবথেকে সেরা সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ডি-বক্সের ঠিক বাইরেই রিদয় পিছলে গেলে ভালো সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। তবে হৃদয়ের দুর্দান্ত ট্যাকলে গোল হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৮৫ মিনিটে সাব হয়ে মাঠে ছাড়েন অবসর থেকে ফেরা সুনীল ছেত্রী। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি রাকিব। আর তাতেই ০-০ গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল।
হামজার অভিষেকে দলকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। এ ম্যাচে জয় চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তবুও ভারতের মাঠে গোলশূন্য ড্র হওয়াতেও খুশি হয়েই মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ।