আল মাহমুদ বিজয় (রাবি প্রতিনিধি):
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব (রাবি প্রেসক্লাব) আয়োজিত ‘ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালা শুরু হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সাংবাদিক সংগঠন ও রাজশাহী কলেজ থেকে মোট ৪৫ জন ক্যাম্পাস সাংবাদিক অংশ নিয়েছেন।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনস্ কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ‘উত্তরায়ন আমানা সিটি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ফজলুল করিম।
এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন, উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. ফজলুল হক ও অধ্যাপক মোহা. হাসানাত আলী। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল ইসলাম তুহিনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি কামরুল হাসান অভি। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন উত্তরায়ন আমানা সিটি।
দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ও সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহীল বাকী, নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার তাসলিমুল আলম তৌহিদ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম সবুজ, বাংলাভিশন টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ফররুখ বাবু, একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার জেমসন মাহবুব, ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার মো. ইউসুফ আলী ও রাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সালমান শাকিল।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা চলছে তাতে যথাযথ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। একজন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর পাশের পর দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি হতে পারছে না। আজকের এই প্রশিক্ষণ চার বছরের অনার্সের কোর্সের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। এই বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ ভব্যিষতে সাফল্যের সোপান হবে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে নিজেকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। আমি মনে করি, আজকের এই প্রশিক্ষণ আগামীদিনে ক্যারিয়ার গঠনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, কোনো ব্যক্তি বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি আঘাত আসে এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন না করাসহ দেশের শৃঙ্খলা ভঙ্গের ক্ষেত্রে উস্কানিমূলক লেখা থেকে বিরত থাকার প্রতি সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি। আমানা গ্রুপ দেশ জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের লালিত স্বপ্নের ব্যস্থবায়ণে দেশের বেকারত্ব দূর করছে। খাদ্যদ্রব্য সুলভমূল্য গুণগত মানসম্মত পণ্য পৌঁছে দিতে এবং বাসস্থান তৈরিতে ভূমিকা পালন করছে।
অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, সাংবাদিকতা তৈরির বিষয় না, সংবাদিকতার সত্তা ভেতর থেকে আসে। আর তা লালন করতে রাবি প্রেসক্লাবের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। রাবি প্রেসক্লাব হলুদ সাংবাদিকতা করে না; যা আমাদের জন্য গর্বের। প্রত্যেক জাতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থাকে আর এ পথকে ত্বরান্বিত করে সাংবাদিকেরা। ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় রাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসান অভি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাবি প্রেসক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মানুষের অধিকার আদায়ে নির্ভীকভাবে সত্য লিখেই যাচ্ছে। বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপনের নৈপুণ্যতা প্রদর্শণ এবং সৎ, দক্ষ ও নির্ভীক সাংবাদিক তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্যরাও দেশের মজলুম মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আজকের এই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের বুনিয়াদি মজবুত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।