প্রেস বিজ্ঞপ্তি
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলবিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, পৃষ্ঠপোষক, শুভানুধ্যায়ীসহ সকল দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এরসভাপতি অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা)।
ফোরাম নেতৃবৃন্দ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, জাতির দুঃসময়েরকান্ডারী, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক শহীদরাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম কে।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইতিহাসেরএক অনিবার্য পরিস্থিতিতে জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষা’র প্রতিফলন ঘটাতে রাজনৈতিক দল হিসাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি’র জন্ম এবং বিকাশ ঘটে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়-বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠারলক্ষে বিএনপি গঠন করেন। আজ বিএনপি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এদেশের গণমানুষের আশাআকাঙ্খার প্রতিক।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ৯০’র দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া’র আপোষহীন ভূমিকায় স্বৈরাচারের পতনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারহয়। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালেতিনি সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’রআপোষহীন ও দেশপ্রেমিক ভূমিকার জন্য বিএনপি আজ নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অসহায়মানুষের একমাত্র প্লাটফর্ম হিসাবে জনগণের কাছে সুপ্রতিষ্ঠিত। দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেকসফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জালিম সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েমিথ্যা মামলায় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিন কাটিয়েছেন দীর্ঘদিন। এখনোনানা শর্তের বেড়াজালে তিনি বন্দি। গুরুতর অসুস্থ হলেও তাকে উন্নত চিকিৎসারজন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগও দেয়া হয়নি। তারাদেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানানোরপাশাপাশিদেশনেত্রীর সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করেন।
নেতৃদ্বয়আরোবলেন, ২০০৭ সালের ১/১১ এরক্যু’রমাধ্যমে বাংলাদেশের মূলধারার রাজনীতির পটপরিবর্তনের সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সূর্য সৈনিক হিসাবেদেশনায়ক তারেক রহমান চলমানগণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে জনগনের আশা ভরসার কেন্দ্র হিসাবে প্রতীয়মান হয়েছেন।
চলমানঅন্দোলনেদলের অগণিত নেতাকর্মীকে ঘাতকের আঘাতেপ্রাণ দিতে হয়েছে। প্রতিদিন মিছিল, মিটিং, সমাবেশে এমনকি নেতাদের বাসাবাড়িতে হামলাহচ্ছে। দলের লক্ষাধিক নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় জর্জরিতহয়েকেউবাজেলেকেউবাফেরারীজীবনযাপনকরছেন। শতাধিক নেতাকর্মীকেগুম করা হয়েছে।এতঅত্যাচারনিপীরনেরপরেওশুধুমাত্রজনাবতারেক রহমানেরবলিষ্ঠওযোগ্যনেতৃত্বেরকারনেথেমে যায়নি বিএনপি’র অগ্রযাত্রা।প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’তে বিএনপি’র আগামী নেতৃত্বদেশনায়ক তারেক রহমানকেও শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দনজানান।
বর্তমানেগণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং মৌলিক অধিকার হরণের মাধ্যমে রাজনীতিরপথকেই সংকুচিত করে দেয়া হয়েছে। তাই আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনেসকলের প্রত্যাশা পারিবারিক ঐতিহ্যের পথ ধরে জনাব তারেক রহমানেরযোগ্য নেতৃত্বেগণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনসফলহবে, অবসান হবে রাজনৈতিকদুর্বৃত্তায়নসহ সকল অনাচার ও অপশাসনের, জনগন ফিরে পাবেতা দের কাঙ্খিত স্বদেশ, প্রিয় বাংলাদেশ।