ফরহাদ আমিন:
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে আউট পোস্ট (বিওপি)পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম।মঙ্গলবার দুপুরে নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার করে তিনি সেন্টমার্টিনে পৌঁছেন।পরে মোটরসাইকেল করে লাইট হাউসে যান।সেখান থেকে তিনি বিজিবির প্রস্তাবিত জায়গাগুলো ঘুরে দেখেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন,রামু সেনা নিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মাঈন উল্লাহ চৌধুরী,বিজিবি’র রিজিওন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার সাজেদুর রহমান,সেক্টর কমান্ডার মনজুরুল হাসান,টেকনাফ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান,অপারেশন অফিসার মেজর মোঃরুবায়াৎ কবীরসহ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিকেলে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম বলেন,সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের জন্য ভৌগোলিকভাবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।এ এলাকার নিরাপত্তা সুরক্ষায় সেন্টমার্টিনে স্থায়ী বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট)কার্যালয় নির্মাণ করা হবে।
সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদক পাচাররোধ,মানব পাচার রোধসহ অপরাধ দমনে বেশ সফলতা দেখিয়েছে।পাশাপাশি যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় জলপথে তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিজিবি।তারই অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিনে২২ বছর পর বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।একটি বিওপি করার পরিকল্পনাও চলছে।সেন্টমার্টিনকে মিয়ানমারের অংশ দাবি করা নিয়ে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,হয়তো মিয়ানমার অজ্ঞাত বসত এটি বলছে। আন্তর্জাতিক সীমানা রেখা অনুযায়ী সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের।খুব কম সময়ের মধ্যে বিজিবি সেন্টমার্টিনে টহল আরও বৃদ্ধি করবে।সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বিজিবি’র তৎপরতায় অনেক অংশে কমে এসেছে চোরা চালানসহ বিভিন্ন অপরাধ নাফনদী দিয়ে ইয়াবা পাচার রোধে অনেক সফলতা পেয়েছে বিজিবি।আগের তুলনায় ইয়াবা পাচার নিয়ন্ত্রণে এসেছে।পাশাপাশি ইয়াবার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশ সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২২ বছর পর চলতি বছরের৭ এপ্রিল সেন্টমার্টিনে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।১৯৯৭ সালের আগ পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিজিবি (তৎকালীন বিডিআর) ছিল।এরপর থেকে সেন্টমার্টিনে বিজিবির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।দীর্ঘ ২২ বছর পর চলতি বছরে ৭ এপ্রিল কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি বিজিবিও সেখানে নিয়মিত টহল শুরু করেছে।