তৌফিক হাসান (তানজিম)কুষ্টিয়া
কুমারখালীতে ডাক্তারী সনদ ও প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়া চিকিৎসা দানকারী দুই ভুয়া ডাক্তারকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভুয়া চিকিৎসকেরা হলেন আবুল বাসার সেতু (৩২) এবং মো. তারেক মাহমুদ তরু (৩৩)।
এদের মধ্যে আবুল বাশার সেতুকে ৫০,০০০ এবং তারেক মাহমুদ তরুকে ১০,০০০ জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও তাদের চেম্বার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় কুমারখালী পৌরসভার হলবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.রিফাত আফজাল হিমেল, থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন – কুমারখালী পৌরসভার শেরকান্দি এলাকার মো. খোকনের ছেলে আবুল বাসার সেতু। এবং একই এলাকার মো. আফজালের ছেলে তারেক মাহমুদ তরু।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, বৈধ কাগজপত্রাদি ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আবুল বাসার সেতু মেডিসিন, নাক, কান ও গলা রোগের চিকিৎসা দেওয়ার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। তিনি প্রায় এক বছর যাবৎ হলবাজার এলাকায় ডক্টর ভেলি নামক চেম্বার খুলে এ কাজ করছিলেন।
অপরদিকে একই এলাকায় বৈধ কাগজপত্রাদি ও প্রশিক্ষণ ছাড়ায় দাঁতজনিত রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও প্যাড ব্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন ভুয়া চিকিৎসক তারেক মাহমুদ তরু। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে জনসেবা ডেন্টাল কেয়ার নামক চেম্বার খুলে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।
অতঃপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভুয়া চিকিৎসক সেতুর কাছ থেকে ৫০ হাজার এবং তরুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের চেম্বার দুটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত জানান, বৈধ কাগজপত্রাদি ও যথাযত প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে নাক, কান, গলা ও দাঁতের চিকিৎসার দেওয়ার অপরাধে ভুয়া চিকিৎসক আবুল বাসার সেতুকে ৫০ হাজার টাকা এবং মো. তারেক মাহমুদ তরুকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের চেম্বার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।