ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

উখিয়ায় অপহরণের ৮ দিন পর অপহৃত রোহিঙ্গা শিশু মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:৩১ অপরাহ্ণ

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিনিধি:

শিশুটির বয়স অনুমানিক ৬বছর। শরীরের গলা থেকে নিচের অংশ মাটির একটি গর্তে পুঁতে রেখেছে। শিশুটির চোখে-মুখে ভয়। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা ভাষায় শিশুটি তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলছিল,আব্বা তরাতরি চেষ্টা গর। মরে গাতত গলায় পিল্লে।

টিয়া দে(বাবা দ্রুত চেষ্টা কর,আমাকে গর্তে পুঁতে ফেলেছে,টাকা দাও)।

এমন একটি ভিডিও বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর পরপরই ভিডিওটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতে থাকেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

আর সেই ভিডিও উৎস জানতে পুলিশ,রোহিঙ্গা নেতাসহ একাধিক জনের সাথে আলাপকালে জানা গেছে,১৫ সেকেন্ডের এই ভিডিও ১০ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার অজ্ঞাত স্থানে ধারণ করা।ভিডিওর শিশুটির নাম মোহাম্মদ আরাকান (৬)।

সে উখিয়া থাইংখালী-১৯নম্বর রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ১৫ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে। ৮ জানুয়ারি আরাকান ক্যাম্পের খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর ১০ জানুয়ারি তার মা–বাবা এই ভিডিও বার্তা পান।

নিখোঁজ আরাকানের সন্ধানে এর আগেই তার মা–বাবা থানায় জিডি করেছিলেন। ভিডিও বার্তা পাওয়ার পর তাঁরা নিশ্চিত হন,তাঁদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।

অপহরণকারীরা আরাকানের মুক্তির বিনিময়ে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের কথা অনুযায়ী দেখিয়ে দেওয়া স্থানে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসেন আরাকানের স্বজনেরা। এতেও আরাকানকে না ছাড়ায় ধারদেনা করে আরও ১লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন তাঁরা।

১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কুতুপালং এলাকার এমএসএফ হল্যান্ড হাসপাতালের সামনে শিশুটিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।

শিশুটির বাবা আব্দুর রহমান বলেন,৮ জানুয়ারি বেলা দুটার দিকে এপিবিএন অফিস সংলগ্ন খেলার মাঠে খেলতে গিয়ে আর ফেরেনি আরাকান। দুদিন ধরে আরাকানের সন্ধানে তাঁরা বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘুরেছেন। পুলিশের কাছেও গেছেন। এপিবিএনের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। এরপর ১০ জানুয়ারি দুটি মুঠোফোন(০১৭৬-৬৫৭৫৪৬৬ ও ০১৮৯৮-৮২১৪২৯)নম্বর থেকে কল দিয়ে বলা হয়,তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ছাড়িয়ে নিতে হলে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না পেলে ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তাঁরা।

আব্দুর রহমান আরো বলেন,অপহরণকারীরা দাবি করা টাকার জন্য ছেলেকে মাটিতে পুঁতে রেখে ভিডিও করে। আমার স্ত্রীর কানের দুল বিক্রি করে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপরও তাকে না ছাড়ায় ক্যাম্পের আত্মীয় স্বজনসহ অন্যান্য লোকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাঠাই।

১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে এমএসএফ হাসপাতালের সামনে আরাকানকে ফেলে যায় তারা।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো:আরিফ হোসেন বলেন, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল।
পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখে অনেক ব্যবহারকারী টেকনাফ-উখিয়া এলাকার সাম্প্রতিক অপহরণ বাণিজ্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

121 Views

আরও পড়ুন

মুসলিম মণিপুরি সম্প্রদায়ের ৮ মুহাদ্দিস মাওলানাকে পাগড়ি পরিয়ে সম্মাননা

পেকুয়ায় ৪জন লবণ চাষিকে কু’পিয়ে জ’খম

মাহফুজুল হক রিফাত এর প্রথম বই “লিথাল”

ফুল টাইম করেন আওয়ামী রাজনীতি, পার্টটাইমে তারা সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী

সাজেকে পর্যটকবাহী গাড়ী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আহত-৩

কাপাসিয়ায় আওয়ামী লীগের ১২ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

এমসি কলেজে দিনব্যাপী সাংবাদিকতা কর্মশালা ও সনদ বিতরণ

শান্তিগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

শান্তিগঞ্জে পিএফজি’র সম্মিলিত কার্যক্রম অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা

পদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ

সিবিআইইউতে আইন বিভাগের উদ্যোগে সেমিনার অনুষ্টিত