ক্রীড়া ডেস্ক :
শেষ পর্যন্ত শঙ্কাটাই সত্য হলো। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয়নি দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের। তাকে ছাড়াই ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে এমন তথ্য।
অথচ তামিম বিশ্বকাপ খেলবেন, এমনটাই ছিল নিশ্চিত। তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে বদলে যেতে শুরু করে সব চিত্র। যেখানে তামিম নিজেকে শতভাগ ফিট নন বলে দাবি করেন। তারপর থেকেই আলোচনায় উঠে আসে সাকিব-তামিম ইস্যু।
তামিমের ফিটনেস নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় মধ্যরাতে বৈঠক করেন সাকিব ও হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। যেখানে সাকিব ও হাথুরু নাকি আনফিট তামিমকে বিশ্বকাপ দলে রাখতে চাননি। শেষ পর্যন্ত তাই হলো।
গত জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই বলেছিলে তামিম ইকবাল। যা ছিল দেশের ক্রিকেটে আলোচিত ঘটনা। উদ্ভূত সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তামিম ইস্যু সুরাহা করতে এগিয়ে আসতে হয়েছিল দেশের ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি ও বর্তমানে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। নড়াইল এক্সপ্রেসের উদ্যোগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে ক্রিকেটে ফিরে আসেন তামিম।
ইনজুরির সঙ্গে তামিমের লড়াই বেশ পুরোনো। অভিমান ভেঙে ক্রিকেটে ফিরলেও মাঝে এশিয়া কাপ খেলা হয়নি তার। ছিলেন ইনজুরি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফিরেই দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম খেলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস। ম্যাচের পর জানিয়েছিলেন, পিঠের পুরোনো চোট ভোগাচ্ছে তাকে। ব্যাটিংয়ের শুরুতে নার্ভাসও ছিলেন তিনি।
পরের অধ্যায় আরও স্পর্শকাতর। দেশের একটি গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, তামিম নাকি বলেছেন, তিনি সম্পূর্ণ ফিট নন। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকলেও তিনি বড়জোর পাঁচটি ম্যাচ খেলতে পারবেন। তা নিয়ে গত দুই দিন গরম ছিল ক্রিকেট পাড়া। যার শেষটা হলো বিশ্বকাপের মতো আসরে তামিমের ছিটকে যাওয়ার ঘটনা দিয়ে।