ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

মায়ের স্মৃতি

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১:১৫ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

আমার মনের মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে যে, আমার মা জান্নাতের শ্রেষ্ঠস্থান জান্নাতুল ফেরদাউসে যেতে সক্ষম হবেন (মহান আল্লাহ কবুল করুন)। আমার নিজের মা, এ জন্য অতি আবেগপ্রবণ হয়ে এমনটা বলছি না। এ জীবনে আমার মা বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বহু কষ্ট করেছেন। পৃথিবীর জীবনে আমার মা সুখ-শান্তির মধ্যে কোন সময় ছিলেন না। আমার মা তার স্বামীর থেকেও যথাযথ হক পাননি। আমার শ্রদ্ধেয় বাবাকে এ কথা বললে তিনি তখন কৌশলে এড়িয়ে যেতেন। আমরা তিন ভাই এক বোন মায়ের যথাযথ যত্নও নিতে পারিনি। মা আমাদের দুই ভাইকে নামাজ পড়তে বলতেন। ছোটবেলা থেকে মা নামাজ আদায় করলেও আমরা ঠিকমত নামাজ আদায় করতাম না।

আর আমরা এখন সরাসরি মায়ের সেবা করতে পারছি না। এখন শুধু (রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানিস সগিরা) এই দোয়া পড়ে সান্ত্বনা নিচ্ছি। ঠিকই সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া করছি। পত্রপত্রিকা পড়ছি। জীবন অতিবাহিত করছি। কিন্তু মায়ের জন্য আমাদের সেই কষ্ট কমছে না। আমার মা নেই পৃথিবীতে। একসময় ভাবতাম (যখন মা পৃথিবীতে ছিলেন) আমার মা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলে আমি কী করে পৃথিবীতে বেঁচে থাকব। কিন্তু তার পরও জান-প্রাণ নিয়ে বেঁচে আছি।তবে দিন রাতের বেশির ভাগ সময় মায়ের কথা মনে পড়ে।

মাঝে মধ্যে আমাকে যখন কেউ প্রশ্ন করে, আমি তখন উত্তর দিতে ভুলে যাই। কারণ ওরকম অনেক সময়ই মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। সেদিন আমার ছোট ভাই প্রসবকালে আমার শ্রদ্ধেয় দুঃখী ও অভিমানী মা (আমাদের জান্নাত) পৃথিবীর জীবন থেকে বিদায় নেন। মা ইন্তেকালের আগে থেকেই তিনি মারাত্মক কোনো অসুস্থ ছিলেন না। মা নানান ট্র্যাজেডিতে মনে খুব আঘাত পেয়েছেন। মায়ের বুকটা ব্যথায় ভরা ছিল।কিন্তু সুস্থ ছিলেন। হ্যা, আমার ছোট ভাইয়ের জন্মের পর মায়ের স্বাভাবিক জ্ঞান ছিল না। এমন অবস্থায়ও মা কুরআনের বিভিন্ন সুরা মুখস্থ পড়তেছিলেন। কালেমা পড়তেছিলেন। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর মা আমাদের ছেড়ে নিরব হয়ে চলে যান। সেই নিরবতা থেকে আর জেগে উঠেননি। পাড়ি জমিয়ে দেন পরপারের জগতে।

আজ খুব মনে পড়ে, আগে প্রতিদিন বিভিন্ন দোয়া পড়ে ‘ফুঁ’ দিতেন। রাতে আমরা বাসায় ফিরলে মা আমাদের নিয়ে খুশির গল্প করতেন। মা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন আজানের সামান্য পরেই। ফজরের আজানের সাথে সাথে মায়ের ঘুম ভেঙে যেত। মা ফজরের নামাজের পর দীর্ঘ সময় কুরআন তিলাওয়াত করতেন। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কুরআন পড়াতেন। ছোটবেলায় মাকে অনেক বিরক্ত করতাম। আমার মনে আছে একবার মা সকালে বাড়িতে একটি কক্ষে বসে কুরআন তিলাওয়াত করছেন। এমন অনেক সময় আমি মায়ের কাছে গিয়ে নাশতা চাইতাম।আমাকে নাশতা তৈরি করে দিতেন। খাওয়াদাওয়া নিয়ে মাকে মহা বিরক্ত করেছি। মা প্রচণ্ড ধৈর্য সহকারে আমাদেরকে খাবার খাওয়াতেন। মায়ের হাজারো স্মৃতি এখন চোখের সামনে ভাসছে। কিন্তু মা নেই। এসব কিছু মহান আল্লাহর ইচ্ছা।
আজো মাঝে মধ্যে রাতে মায়ের কথা মনে করে কেঁদে উঠি। মাকে জীবিত অবস্থায় দেখতাম নানির কথা মনে করে মা প্রায়ই কেঁদে উঠতেন। তখন এর গুরুত্ব বেশি বুঝিনি। এখন বুঝতে পারছি।কিন্তু এখন বুঝে কোনো লাভ পাচ্ছি না।

তাই আমাদের যাদের মা এখনো বেচে আছেন। তারা যেন তাদের কোনো কষ্ট না দিই। তাদের যথাযথ সেবা ও সম্মান করার চেষ্টা করি। পরিশেষে আল্লাহর কাছে দুআ করি, আল্লাহ তা’য়ালা যেন আমার মাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন।আমিন।

হাফিজুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, কওমি মাদরাসা টাংগাইল।

1,501 Views

আরও পড়ুন

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ।।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীতা চেয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিলেন এম এ মালেক খান

শান্তিগঞ্জে সুবিপ্রবি’র স্হায়ী ক্যাম্পাস দ্রত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা

শান্তিগঞ্জে বসত বাড়ী জোর দখলের অভিযোগে পরিদর্শনে মানবাধিকার চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন খান

ফেনীর ফাজিলপুরে মহিলা জামায়াতের কুরআন তালিমে হামলার অভিযোগ।

জনগণ জেগে উঠেছে, আসছে ন্যায়-ইনসাফের বাংলাদেশ”—চকরিয়ায় ড. হামিদ আজাদ

আ.লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার আগে জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়া উচিত : বুলু

মিঠাপুকুরে বিএনপি কর্মী আশিকুর রহমান লিমনের জামায়তে যোগদান

দোয়ারাবাজারে বিএনপি নেতা মামুন মিয়ার সংবাদ সম্মেলন

দোয়ারাবাজারে বিএনপি নেতা মামুন মিয়ার সংবাদ সম্মেলন

শিক্ষকদের ন্যায্য আন্দোলনের প্রতি দোয়ারাবাজারে শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ, স্মারক লিপি প্রদান

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ঘেরাও