ঢাকারবিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৫
  1. সর্বশেষ

চান্দগাঁও এর মা-ছেলে জোড়া খুন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২:১৪ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

আদালত প্রতিবেদক :

পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকায় ‘পাতানো ভাইয়ের’ হাতে মা-ছেলে খুন হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সংবাদদাতার সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন আদালত।

গতকাল বুধবার ২য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোঃ আমিরুল ইসলাম এর আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে।মামলাটি সম্প্রতি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালত হতে বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে অত্র আদালতে আসলে একমাত্র আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়।

অভিযোগপত্রে একমাত্র আসামি ভিকটিম গুলনাহার বেগমের পাতানো ভাই মো. ফারুক।এ ফারুকই গুলনাহার ও তার ৯ বছরের ছেলে মো. রিফাতকে হত্যা করেন।মামলার বাদী সংবাদদাতা ময়ূরী বেগম(২১) আজ আদালতে জবানবন্দী প্রদানকালে তাঁর মা ও ছোট ভাইয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেন।মা-ছেলে খুনের মামলায় সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ।

চান্দগাঁও থানার হত্যা মামলার (নং-২৯(৮)২০২০) এজাহারভুক্ত আসামি চান্দগাঁও কসাইপাড়া এলাকার মো. সিরাজের ছেলে মো. ফারুকের (৩৪) বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।এ কারণে ফৌজদারী কার্যাবিধির ১৭৩ ধারা মতে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল।ভিকটিম গুলনাহার বেগমের (৩৩) মেয়ে গার্মেন্টসকর্মী ময়ূরী আক্তার (২১) বাদী হয়ে এ ঘটনায় গত বছরের ২৫ আগস্ট হত্যা মামলা দায়ের করেন ।

মামলার বিবরণে প্রকাশ চান্দগাঁও পাঠানিয়া গোদা এলাকার সরাফত উল্লাহ রোডের একটি ভাড়া বাসায় গুলনাহার তার সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের মতো গুলনাহারের মেয়ে ময়ূরী সকালে গার্মেন্টসে চলে যান। বাসায় ছিলেন মা ও ছোট ভাই। চাকরি শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দরজার হুক খুলে দেখেন। মেঝেতে মা ও ভাইয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। তারপর পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ গিয়ে ঘরের মধ্যে কয়েকটি মেলামাইনের প্লেট ভাঙ্গা অবস্থা দেখতে পায়। উভয়ের শরীরে একাধিক ক্ষত ছিল। নিহত গুলনাহারের বড় মেয়ে আজিম গ্রুপের গার্মেন্টস কর্মী ময়ূরী আক্তার বলেন, আমার মা ও ভাই হত্যার ঘটনায় আদালতে সাক্ষী শুরু হওয়ায় আনন্দ লাগছে। আমি চাই দ্রুত বিচার সম্পন্ন হোক। অপরাধী তার ন্যায্য সাজা ভোগ করুক। এর আগে গত ২০২০ সালের ১ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টায় ফারুক ঢাকা থেকে আকবর শাহ থানাধীন পাক্কার মাথা এলাকায় এসে অবস্থান নিলে তাকে আটক করে র‍্যাবের একটি টিম। এরপর জিজ্ঞাসবাদে ফারুক স্বীকার করেন রাগের মাথায় ‘পাতানো বোন’ গুলনাহার বেগমকে প্রথমে খুন করেন এবং খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় তার শিশুপুত্র রিফাতকেও খুন করা হয়।

বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী মানবাধিকার এডভোকেট এ এম জিয়া হাবীব আহ্সান, এডভোকেট এ এইচ এম জসীম উদ্দিন, এডভোকেট মো. হাসান আলী, এডভোকেট মোহাম্মদ বদরুল হাসান, এডভোকেট জিয়াউদ্দীন আরমান আলোচিত এ মামলায় ভিকটিম পরিবারকে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন।

503 Views

আরও পড়ুন

নালিতাবাড়ীতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

কাপাসিয়ায় বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় সহায়তা করলেন জামায়াত নেতা আইউবী

মহেশখালী নৌঘাটে সী ট্রাক চালু ও পল্টুন স্হাপনকে স্বাগতম- ড. হামিদুর রহমান আযাদ

গরমে যেসব অসুখ বেশি হতে পারে

জামালপুরে তিন হাজার পাঁচশত পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

বাংলাদেশ স্কাউটস বোয়ালখালী উপজেলার নির্বাহী কমিটির সভা

রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

দুর্গাপুরে আ.লীগ নেতা ফারুকসহ তিন কলেজ অধ্যক্ষের দুর্নীতি প্রমাণিত, দ্রুত বিচার দাবি

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে কিশোরীকে গনধর্ষণ : আটক ২ যুবক

সিডিএ’র আইন উপদেষ্টা হলেন মানবাধিকার আইনবিদ জিয়া হাবীব আহসান

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার,কর্মসূচী স্থগিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র আরএমটিপি এবং গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স লিমিটেডের সেবা বিষয়ক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর কর্মশালা