মির্জা নাদিম :
ফেনীর সোনাগাজী’র দারোগার হাট ভূইয়া মসজিদ,সংলগ্ন লাল মিয়া হাজি বাড়ী থেকে গত ২০শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে শ্বশুর বাড়ী থেকে রহিমা আক্তার পিনু নামের এক গৃহ বঁধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পিনুর বাবার অভিযোগ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তার মে পিনুকে হত্যা করেছে।
নিহত গৃহবধু রহিমা আক্তার পিনু (২২) নিজ এলাকার নাদিরুজ্জামানের ছেলে বাহরাইন প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি সোনাগাজী লক্ষিপুর গ্রামের মালেক মৌলবী বাড়ীর মোঃ ইস্রাফিলের মেয়ে।
নিহত পিনুর স্বজনেরা গণমাধ্যমে জানায়, ২০২০ সালে রহিমা আক্তার পিনুর বিয়ে হয়। এই দম্পতির ৩ বছরের একটি কন্য সন্তান রয়েছে। গত ২০শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে নিহত পিনুর কক্ষের দরজা বন্ধ পান প্রতিবেশীরা । জানালা দিয়ে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা দেখতে পান পিনু ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত পিনুর বাবা গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমার মেয়ে গত রবিবার ছোট বোনের বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর সোমবার তার শ্বশুর বাড়িতে যায়। শ্বশুর বাড়ির ঘরের কাজ কিছু অসম্পূর্ন থাকার কথা বলে বাবার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। শ্বশুর বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন যাবৎ তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। ওই বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি হত্যা মামলা করব।’
শুক্রবার বিকেল ৪টা পিনুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।