স্টাফ রিপোর্টারঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের দুলাল সেন্টারে “শাহ জব্বারিয়া ফার্মেসী”তে চোরাইকৃত মাল বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে। চুরির বিষয়ে চকরিয়া থানায় ১৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭টায় অভিযোগ দায়ের করেন, এস্ট্রা বায়োফার্মা লিঃ কোম্পানীর এস আর জানে আলম।
এজহার সুত্রে জানা যায়, এসট্রা ফার্মার তিন কার্টুন ঔষধ সরবরাহ করতে, রশি আনার জন্য যান তিনি (জানে আলম)। কিন্ত এসে দেখেন তার তিন কার্টুন ঔষধ চুরি হয়েছে। যে স্থানটিতে ঔষধ চুরির ঘটনা ঘটেছে, একই স্থানে অবস্থিত শাহ জব্বারিয়া ফার্মেসিতে যেহেতু অতীতে চোরাই পণ্যর অভিযোগ ছিল, তাই খোঁজ নিয়ে চুরি হয়ে যাওয়া ঔষধের হদিস মিলে শাহ জব্বারিয়া ফার্মেসীতে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন- মালিক এস্ট্রা বায়োফার্মা লিঃ কোম্পানীর এস আর জানে আলম।
শাহ জব্বারিয়া ফার্মেসীর মালিক ও বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি চকরিয়া শাখার নেতা নজরুল ইসলাম(৩৭), আরমান(৩২), কর্মচারী মামুন সহ ৪ জনের নামে থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন তিনি।
ঘটনা পরবর্তী ক্ষিপ্ত হয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির চকরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি কামাল উদ্দিন, সহ সভাপতি বাচ্চু নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক নিবেদন দে স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে, এস্ট্রা বায়ো ফার্মার কোন ঔষধ ক্রয় এবং বিক্রয় না করার জন্য নির্দেষ প্রদান করেন, যাহা নিয়ম বহির্ভূত।
বাদী জানান, আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উক্ত ফার্মেসীর মালিককে এস্ট্রা বায়োফার্মার চুরি যাওয়া এতগুলো ঔষধ কোথায় পেয়েছেন জিজ্ঞাসা করলে শাহ জব্বারিয়া ফার্মেসীর সংঘবদ্ধ চক্রের দল (উপরোক্ত আসামীগণ) তোমাকে কৈফিয়ত দিতে হবে নাকি বলিয়া অতর্কিতভাবে ওলোপাতাড়ি লাথি, কিল ও ঘুষি মারিয়া পরণের শার্ট প্যান্ট ছিড়িয়া ফেলে। আমাকে ও এলোপাথাড়ি মারধর করিয়া মারাত্মক জখম করে। আমাকে হত্যার হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে আসছে আসামীগণ, এতে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমি কোম্পানির চুরি হওয়া ঔষধ ফেরত ও সঠিক বিচারের পার্থনা করছি প্রশাসনের প্রতি।