ঢাকারবিবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

যেভাবে হলো স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়

প্রতিবেদক
admin
২৪ এপ্রিল ২০২২, ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

“স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে,
কে বাঁচিতে চায়?
দাসত্ব-শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে,
কে পরিবে পায় |”

স্বাধীনতা ছাড়া কেউ বাঁচতে চায় না, দাসত্বের শৃঙ্খল কেউ মেনে নেয় না। জন্মলগ্ন থেকেই প্রতিটি প্রাণির থাকে স্বাধীনতার উম্মাদনা। আর সেই উম্মাদনার অস্ফুট চেতনাই দাসত্বের শৃঙ্খলকে দুমড়ে মুচড়ে আনে স্বাধীনতা, বাজায় মুক্তির ঘন্টা। বাংলাদেশের স্বাধীনতাও এমনি, দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ জনতার বিদ্রোহ বিপ্লবের ফসল।

স্বাধীন বাংলার স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আজ আমরা শ্বাস নিচ্ছি এই বাংলার মাটিতে। পরাধীনতার শিকল থেকে বের হয়ে স্বাধীনতার এ নতুন সূর্যোদয় দেখার যাত্রাটা খুব একটা সহজ ছিলো না। এর সূচনাও হুট করে একদিনেই হয়নি।

১৭৫৭ সালে, পলাশীর প্রান্তরে অভাগা জাতি হারায় স্বাধীনতার আলো,পশ্চিম আকাশে অস্তমিত হয় স্বাধীনতার সূর্য, নেমে আসে থমথমে ছমছমে ঘন অন্ধকার। প্রায় দুইশ বছর পর আবার স্বাধীনতার সূর্য পাক-ভারতের পুবের আকাশে উদিত হয়, কিন্তু বাংলার আকাশ মেঘাচ্ছন্নই থেকে যায়। দুইশ বছর বৃটিশদের দ্বারা শাসিত শোষিত হয়ে ১৯৪৭ সালে শুরু হয় পশ্চিম পাকিস্তানের নতুন মাত্রার শোষণ। ৪৭’ থেকে ৭১’ আবার কেটে যায় দানবের দানবীয় অত্যাচারে। এরপর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও অজস্র ত্যাগ তিতিক্ষার পর তৈরি হয় বাংলার নিজস্ব আকাশ, সৃষ্টি হয় পৃথিবীর বুকে এক নতুন মানচিত্র, আমরা পাই স্বাধীন বাংলাদেশ।

 

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত বাংলার মানুষের ইতিহাস ছিল শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাস। এই দীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার বীজের ফসলই ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ। শুরুটা হয়েছিলো ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।এরপর ৬৬ এর ছয় দফা দাবি, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান আর সর্বোপরি ৭০ এর সাধারণ নির্বাচন, একের পর এক এইসব ঘটনাগুলো জন্ম দিয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তানি সামরিক শাসকচক্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা চক্রান্ত শুরু করে। ১৯৭১ সালে ৩রা মার্চ ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করেন।পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো ঢাকায় অধিবেশনে যোগদান করতে অস্বীকার করেন। তিনি অন্যান্য সদস্যকেও হুমকি দেন। এসবই ছিল ভুট্টো ইয়াহিয়ার ষড়যন্ত্রের ফল। ইয়াহিয়া খান ১লা মার্চ ভুট্টোর ঘোষণাকে অজুহাত দেখিয়ে ৩রা মার্চের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। এদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করে অধিবেশন স্থগিত করার কারণে পূর্ব বাংলার জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অধিবেশন স্থগিত করায় প্রতিবাদী সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারাদেশে হরতাল পালিত হয়। ফলে সকল সরকারি কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। হরতাল চলাকালীন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে বহুলোক হতাহতের ঘটনা ঘটে। বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানে(বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল এক জনসভার সামনে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার আহবান জানান। এরপর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ , ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে পৃথিবীর বুকে তৈরি হয় ‘ঈ’ আকৃতির এক সবুজে ঘেরা মানচিত্র, ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।

রওনক জাহান
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো চবি ছাত্রদল নেতা আরিফের জানাজা অনুষ্ঠিত

সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন ডা. মো. নজরুল ইসলাম

প্রাথমিক শিক্ষার সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক হলেন রফিকুল ইসলাম তালুকদার

ইসলামপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও রোকেয়া দিবস পালিত

কুবি ভর্তি পরীক্ষায় দশদিনে আবেদন ৩৩ হাজারের বেশি

চকরিয়ায় মরহুম ওসমান সওদাগরের সহধর্মিনীর জানাজা অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধায় নারী ও কিশোরীর প্রতি ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে মানববন্ধন

ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

সুন্দরী গাছ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে

শান্তিগঞ্জে শুভ উদ্ভোধন হলো জেলা প্রশাসন ল্যাবরেটরি হাইস্কুল ‎

আনিসুল, আনোয়ারের নেতৃত্বে ২০ দলীয় গণতান্ত্রিক জোট

কক্সবাজারে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ‘Businesses Development Training 2025’ অনুষ্ঠিত