ঢাকাশুক্রবার , ১৪ মার্চ ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

ঐতিহাসিক কাটাখালি যুদ্ধ দিবস আজ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
৬ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ণ

Link Copied!

রাকিবুল আওয়াল পাপুল,শেরপুর প্রতিনিধিঃ

আজ ৬ জুলাই শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঐতিহাসিক কাটাখালী যুদ্ধ দিবস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এইদিনে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে একই পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাজমুল আহসান, মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেনসহ ১২ জন শহীদ হন।

স্বাধীনতা অর্জনের পর শহীদ নাজমুলের নামে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল, নালিতাবাড়ীতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা্ হয়েছে। শেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতবছর কাটাখালীতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ব্রিজের পাশে শহীদ নাজমুল পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

সরকার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে শহীদ নাজমুলকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করেছে। এর মধ্য দিয়ে ‘অপারেশন কাটাখালি’ ও রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধের সরকারি স্বীকৃতি মিলেছে।

মুক্তিযুদ্ধা ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, ১৯৭১ সালের ৫ জুলাই রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা ডিনামাইট ফিট করে ঝিনাইগাতী-শেরপুর সড়কের কাটাখালি ব্রিজ উড়িয়ে দেন। এ অপারেশনের নেতৃত্বে প্রদান করেন, কোম্পানি কমান্ডার নাজমুল আহসান। সফল অপারেশন শেষ করতে ভোর হয়ে যাওয়ায় এবং দিনের আলো ফুটে উঠায় পার্শ্ববর্তী রাঙ্গামাটি গ্রামে আশ্রয় নেন নাজমুল আহসানসহ মুক্তিযোদ্ধারা। কোথাও বের হওয়া নিরাপদ মনে না করে পরিশ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধারা সেখানেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কিন্তু ওই গ্রামের দালাল জালাল মিস্ত্রী পাক বাহিনীর স্থানীয় হেড কোয়ার্টার আহাম্মদনগর ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের খবরটি পৌঁছে দেন।

এ সংবাদ পেয়ে পাক হানাদার বাহিনী ৬ জুলাই সকালে স্থানীয় রাজাকার, আল-বদরদের সঙ্গে নিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রাম তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে গুলিবর্ষণ শুরু করে। কমান্ডার নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। ওই গ্রামের তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলা মুক্তিযোদ্ধাদের যাওয়ার একমাত্র পথ খোলা ছিল রাঙ্গামাটি বিল। ওই বিলের পানিতে নেমে কভারিং ফায়ার করতে করতে কমান্ডার নাজমুল আহসান মুক্তিযোদ্ধাদের রাঙ্গামাটি বিল সাঁতরিয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। সেখানেই পাক সেনাদের ব্রাশ ফায়ারে কমান্ডার নাজমুল আহসান শহীদ হন। কমান্ডার নাজমুলের লাশ আনতে গিয়ে পাক হানাদারদের গুলিতে তার চাচাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেনও শহীদ হন।

মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে পাক বাহিনী রাঙ্গামাটি গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ জনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন শহীদ হন।

দিবসটি উপলক্ষে শহীদ নাজমুল পার্কে শহীদ নাজমুল আহসানের স্মৃতিস্তম্ভে পূষ্পার্ঘ অর্পন ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।

170 Views

আরও পড়ুন

সোনাগাজী বগাদানা ইউনিয়নে তাঁতীদলের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

গাজীপুরে সাংবাদিকদের সম্মানে শিবিরের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

চকরিয়ায় সাংবাদিকদের সম্মানে সাকিবের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

কাঠ পুড়িয়ে ব্রয়লার সংরক্ষণ: অভিযোগ উঠলো তালুকদার ‌’স’ মিলের বিরুদ্ধে

সংবর্ধিত হলেন স্কাউটার মোহাম্মদ আলী ও জানে আলম

কক্সবাজার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’র আত্মপ্রকাশ

টঙ্গীতে ছাত্রদলের উদ্যোগে অসুস্থ ও ডেঙ্গু রোগীদের মাঝে ইফতার বিতরণ

গাজীপুরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল

ডুয়েটের জালিয়াতি মামলায় চার অধ্যাপকের জামিন

নবরুপে ফ্যাসীবাদের জন্ম হলে এ প্রজন্ম মেনে নেবেনা- মু: শাহজাহান

শান্তিগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সভা

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের সরকারি রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান-উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা