স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর (৫২) হত্যার ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের আরেক নেতা আব্দুল হাফিজকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল হাফিজ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের দরগাপুর গ্রামের আলিফ পাঠানের ছেলে। তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক এবং সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে জমিয়তের একাংশের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমের রাজনৈতিক উপদেষ্টা।
মাওলানা মুশতাক আহমদের স্ত্রী রুবি বেগম বাদী হয়ে রোববার রাতে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর সিলেট শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিখোঁজের রাতে নোয়াখালী বাজার এলাকায় মাওলানা মুশতাক আহমদকে একটি অটোরিকশায় আব্দুল হাফিজসহ আরও দু’জনের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম বলেন, আব্দুল হাফিজ নির্দোষ। তিনি স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী জানান, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার ভিত্তিতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন মাওলানা মুশতাক আহমদ। নিখোঁজের তিন দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর সকালে দিরাই উপজেলার শরিফপুর ইটভাটা সংলগ্ন মরা সুরমা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। আব্দুল হাফিজের গ্রেপ্তার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।