ইকবাল আজাদ,স্টাফ রিপোর্টার :
সম্প্রতি শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে তেমন ভালো না করতে পারলেও এনসিএলে (ন্যাশনাল ক্রিকেট লীগ) নিজে যেন খুঁজে পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। রাজশাহী বিভাগের হয়ে খেলতে নামা মুশফিক প্রথম দিনেই অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। ৯৩ বলে সিঙ্গেলস এর মাধ্যমে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। শুরুতে তাইজুল এবং শফিউল এর কল্যাণে ২৪০ রানে থামে ঢাকা বিভাগের প্রথম ইনিংস। তাইজুল ৪ উইকেট এবং শফিউল ৩ উইকেট অর্জন করেন। পরে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী বিভাগ শুরুতেই টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসেন। ওপেনার মিজানুর রহমান ১, ওয়ান ডাউনে নামা জুনায়েদ সিদ্দিকী ২ এবং অভিষেক মিত্র ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। পরে অধিনায়ক জহিরুল ইসলাম এবং মুশফিকুর রহিমের সাবধানী ব্যাটিংয়ে সুন্দর পার্টনারশিপ গড়েন দুই ব্যাটসম্যান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, ঢাকা বিভাগের কাপ্তান শুভাগত হোমের বলে মুশফিক ৭৫ রানে থামলেও জহুরুল হক অর্ধশতক করে ক্রিজে অবস্থান করছেন।
প্রায় ৪ বছর পরে এনসিএলে (ন্যাশনাল ক্রিকেট লীগ) নিয়মিত হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ভারতের সাথে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এনসিএলে খেলবেন তারা। পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে মাশরাফি,সাকিব না খেললেও মুশফিক, রিয়াদ এবং তামিম খেলছেন প্রথম রাউন্ড থেকে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে খেলতে নামা তামিম ইকবাল ব্যাট হাতে মলিন (৩০ রান) থাকলেও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন ঢাকা মেট্রোর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৬ ওভারে ৫৫ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের রানের পথের রোধ করেন আরাফাত সানি। জাতীয় দলের সাবেক এই বোলার একাই ৬ উইকেট দখল করেন। তাসামুল হকের ৯০ রানে চট্টগ্রাম বিভাগ ২৯০ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করে।
রিপোর্ট লেখাকালীন সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ঢাকা বিভাগঃ ২৪০/১০ (তাইবুর ৮৮*, রনি ৬৩) তাইজুল ২৮-৪-৯২-৪
রাজশাহী বিভাগঃ ১৫৫/৫ (মুশফিক ৭৫, জহিরুল ৫৭*) সুমন খান ১৯-৭-২৭-৩