কাজী আশফিক রাসেল
সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার স্বার্থে রাকসু নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে এভাবে বারবার তারিখ পরিবর্তন, সিদ্ধান্ত স্থির থাকতে না পারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা ও দুর্বলতাকেই স্পষ্ট করে । বিশেষ করে আজ বিকালেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছিলেন-
"প্রশাসনের সাথে যারা আছে তাদের কাছে আমার স্পষ্ট বার্তা - নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের তরফ থেকে যে সিদ্ধান্ত হবে সেই সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। এমনকি বিকালেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বললে শুনলাম, "তীরে এসে তরী ডুববে না, নির্বাচন হবেই ইনশাআল্লাহ"।
কিন্তু বিকাল গড়িয়ে রাত না হতেই চিত্র পাল্টে গেল। প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন হলো না বরং সিদ্ধান্ত বদলে গেলো। তীরে এসে তরী সত্যিই ডুবল। নির্ধারিত ২৫ সেপ্টেম্বরের বহুল প্রতিক্ষিত রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে নেওয়া হলো পুজোর পর ১৬ অক্টোবর!
এভাবে বারবার সিদ্ধান্ত বদল, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় অনেকের মধ্যে শঙ্কা জেগেছে, পূজোর পরের রাকসু নির্বাচন যেনো আবার ঈদের পর আন্দোলনের মতো না হয়!
এইমুহূর্তে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন নিয়ে নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না করে এই মুহুর্তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রসংগঠনের এক হয়ে দাবি তোলা উচিত দ্রুততম সময়ের বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সকল জঞ্জালের সমাধান করা। চরম বৈষম্যমূলক পৌষ্য কোটা ইস্যু চিরতরে বিলোপ করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পৌষ্য কোটার পক্ষে গ্যাঞ্জাম করেছে বা করবে তাদের প্রত্যেকেই কর্ম থেকে বাধ্যতামূলক ছাটাই করা উচিত। এতে অন্তত বাংলাদেশের অনেক যোগ্য ও বিবেকসম্পন্ন বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
চব্বিশের পরবর্তী এই বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গনের মতো পবিত্র জায়গায় পৌষ্য কোটার অস্তিত্ব থাকাটাই চরম লজ্জার। তাই ১৬ অক্টোবরের নির্বাচনের আগে এ ইস্যুটি নিষ্পত্তি করা জরুরি। অন্যথায় পৌষ্য কোটার নির্লজ্জ সমর্থকেরা আবার নতুন কোনো ইস্যু তৈরি করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। পূজোর আগেই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়া সময়ের দাবি।
লেখকঃ কাজী আশফিক রাসেল
বিবিএ, এমবিএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০