বরিশাল :
হঠাৎ করে লবণাক্ত হয়ে উঠেছে কীর্তনখোলা ও সুগন্ধা নদীর পানি। বেশ কয়েকদিন ধরে এমন লবণাক্ততা লক্ষ্য করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
তীরবর্তী মানুষ কয়েক দিন আগে দৈনন্দিন কাজে এ নদীর পানি ব্যবহার করলেও এখন তা স্বাভাবিকভাবে সম্ভব হচ্ছে না। গেল বছর করোনাকালে বেশ ভালো ছিল এই নদীর পানি। আর মিঠাপানির কীর্তনখোলা নদীতে বর্তমানে যে কিছুটা লবণাক্ততা রয়েছে তা নিশ্চিত করেছেন পরিবেশবিদরাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে শুষ্ক মৌসুমে উজানের পানি কম প্রবাহিত হওয়া এবং সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে বৃষ্টিপাত না হওয়া, দূষণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই কীর্তনখোলার মতো মিঠা নদীর পানিও এখন লবণাক্ত হয়ে উঠেছে। এতে করে জীববৈচিত্র্যের ওপরও বিরুপ প্রভাব পড়বে, ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কাও রয়েছে।
বরিশাল নগরের ভাটারখাল কলোনির বাসিন্দা যারা কীর্তনখোলা নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল তাদের মতে, সপ্তাহখানেকেরও বেশি সময় ধরে কীর্তনখোলা নদীর পানিতে লবণের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। মুক্তিযোদ্ধা পার্ক সংলগ্ন নদীতে গোসল করতে গিয়ে অনেকেই পানি মুখে দিয়ে লবণের উপস্থিতি লক্ষ করেন। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কেউ নজরে না আনলেও, পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ শোরগোল শুরু হয়ে যায়।
লবণাক্ততা বেড়ে গেলে নদীতে বসবাসকারী প্রাণীর স্বাভাবিক জীবন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হবে। পাশাপাশি অনেক প্রজাতি হারিয়ে যেতে পারে। এতে ইলিশসহ নানা ধরনের মাছের উৎপাদনেও প্রভাব ফেলতে পারে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কামরুজ্জামান সরকার জানান, প্রতি মাসেই কীর্তনখোলাসহ বরিশাল বিভাগের ১৫টি নদীর পানি পরীক্ষা করা হয়। আমরা বিষয়গুলো লক্ষ করছি, ঘন ঘন পানির স্যাম্পল সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০