ঢাকামঙ্গলবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কুপি বাতি

প্রতিবেদক
admin
২৫ মার্চ ২০২০, ২:০২ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

আধুনিকতার সংস্পর্শে এবং বৈদ্যুতিক যুগে বতর্মানে আহবহমান গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় কুপি বাতি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে। এই কুপি বাতি শুধুই এখন স্মৃতি।

কালের বির্বতনে কুপি বাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার্জার, চার্জার ল্যাম্প, চার্জার লাইটসহ আরো অনেক কিছুই। আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে আবহমান গ্রামবাংলার কুপি বাতি যেন হারিয়ে যাচ্ছে রুপসী গ্রাম বাংলা থেকে। এক সময় আবহমান গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এই কুপি বাতি আলো দিত। যা এখন খুব কমই চোখে পড়ে। রুপসী-গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা প্রযোজনীয় কুপি বাতি আজ এক প্রকার কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে গেছে বললেই চলে।

আমাবস্যার রাতে মিটি মিটি আলো জ্বালিয়ে গ্রামের মানুষের পথ চলার স্নৃতি এখনো সৃষ্টিশীলদের কাছে টানে। এমন একটা সময় ছিল যখন গ্রামবাংলার আপামর জনসাধারণের অন্ধাকারে একমাএ আলোক বর্তিকার কাজ করতো এই কুপি বাতি। কুপি বাতিগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বাহারী রঙের ।

এই কুপিগুলো তৈরি হত কাঁচ, মাটি, লোহা আর পিতল দিয়ে। গ্রামবাংলার মানুষ সামর্থ অনুযায়ী কুপি কিনে ব্যবহার করতেন। বাজারে সাধারনত দুই ধরনের কুপি পাওয়া যেত বড় ও ছোট। বেশি আলোর প্রযোজনে কুপি বাতিগুলো কাঠ এবং মাটির তৈরী গছা অথবা স্টান্ডের উপর রাখা হত। এই গছা অথবা স্টান্ডগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের ও বাহারী ।

কিন্তু বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুতের ছোঁয়ায় কুপি বাতির কদর যেন হারিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও গ্রামবাংলার মানুষ ব্যবহার করছেন সৌর বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন রকমের র্চাজার। রুপসী-গ্রামবাংলা আপামর মানুষের কাছে কুপি বাতির কদর কমে গেলেও আবার কেউ কেউ এই কুপি বাতির স্নৃতি আকড়ে ধরে আছেন।সরেজমিনে দেখা যায় কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের শান্তি বালার বাড়ীতে এখনো এই বাতি ব্যবহার করা হয়।

কুড়িগ্রামে অনেকেই আবার সৌখিন হিসাবেও কুপি বাতি ব্যবহার করতে দেখা যায। উওর বড়ভিটা গ্রামের অনেশ চন্দ্র দাসের বাড়ীতে এখনও এই কুপি বাতির আলো তার ঘরকে আলোকিত করে। তিনি জানান, বাহে আমরা গরিব মানুষ টাকা পয়সা নাই তাই সোলার বা সৌর-বিদ্যুৎ নেওয়ার মত সামর্থ আমাদের নেই।

তাই বিদ্যুৎ বা সৌর-বিদ্যুৎ এর যুগেও আমরা এখনও এই কুপি বাতি ব্যবহার করছি । অনেকে আবার স্বযতেœ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের নিদর্শণ স্বরুপ এটি সংরক্ষণ করে রেখেছেন ।

কুপি বাতির ব্যবহার ও কদর যে হারে লোপ পাচ্ছে তাতে অদুর ভবিষ্যতে কুপি বাতি শুধু স্নৃতি হয়ে থাকবে। আবহমান গ্রামবাংলায় কুপি বাতির মত ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন আজ প্রযুক্তির কল্যাণে বিলীন হযে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন

চকরিয়ার হারবাংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

মারধরের অভিযোগে চবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে শোকজ

আঞ্চলিক জোট গঠন ও সমতার ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেন জিয়া

গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করে ওসি প্রদীপ

দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতেও জোর করে ফ্লোর পার্টি করছে ইডেনের আবাসিক কিছু শিক্ষার্থী

নাশকতার মামলায় আ’লীগ নেতাদের সাথে জামায়াত নেতার নাম, প্রতিবাদে থানাগেটে বিক্ষোভ

টেকনাফে গহীন পাহাড়ে যৌথ সাঁড়াশি অভিযান,সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা ধ্বংস

সার ডিলার লাইসেন্স বহাল রাখার দাবিতে দোয়ারাবাজারে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান

দোয়ারাবাজারে মাদক, অনলাইন জুয়া ও কিশোর গ্যাং বিরোধী সচেতনতামূলক সভা

ভূমিকম্পে ইডেন কলেজের হাসনা বেগম হলে দেয়াল খসে পড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক, গভীর রাতে হলের নিচে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

টেকনাফে আদালত ভবন স্থাপনের ঘোষণা দিলেন বিএনপি’র প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী

যথাসময়ে নির্বাচন হতে হবে,নয়তো দেশে সংকট তৈরি হবে-আমীরে জামায়াত