নিউজ ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গভীর রাতে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে রাত দেড়টার দিকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
এর আগে রোববার দিবাগত রাতে মেডিক্যাল বোর্ড বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও সর্বশেষ শারিরীক অবস্থা পর্যালোচনায় বৈঠকে বসেবলেন জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রকৃতপক্ষে ভালো নয় বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত একাধিক চিকিৎসক। অতিদ্রুত খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে না নিলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন তারা।
এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন ১০০১ জন চিকিৎসক। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ।
ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালামসহ ১০০১ জন চিকিৎসক এক যৌথ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সংগ্রামী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ। প্রবীণ এই নারী বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছে যে, খালেদা জিয়া এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দেশে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই। কেননা তার চিকিৎসার জন্য যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার সে সব বাংলাদেশে নেই। ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে নিয়ে ট্রিটমেন্ট অতি জরুরি। তাই আমরা সরকারকে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে মানবিক দিক বিবেচনায় একজন প্রবীণ ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
অন্যথায় বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।