রিফাত বিন জামাল, সিলেট।
বিশ্ব ক্রিকেটে রোহিত শর্মা জনপ্রিয় এক নাম।বর্তমানে বিশ্বসেরা ওপেনারদের একজন রোহিত শর্মা। আর তার সঙ্গে যোগাযোগের একটা ভালো মাধ্যম হতে পারেন তার বউ ঋতিকা সাজদেহ। এজন্য তার সঙ্গে তো বন্ধুত্ব থাকতে হবে। সে কাজটাও খুব সহজ, একটা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই হলেই হবে!
রোহিত শর্মা বলেন, আমার স্ত্রীকে যেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দেয়, তাকেই সে খুব পছন্দ করে। সে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভালোবাসে।
তবে রোহিতের বউয়ের সাথে বন্ধুত্ব গড়ার জন্য তাকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ানোর সুযোগ তো পেতে হবে। সে সুযোগটা পেয়েছিলেন তামিম ইকবালের ভাই নাফিস ইকবাল।
২০১৮ সালে মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে যোগ দেন নাফিস ইকবাল। সেখানেই এয়ারপোর্টে সে সুযোগটা পেয়ে যান তিনি। রোহিত শর্মা ও তামিম ইকবালের লাইভ আড্ডায় আসে সে প্রসঙ্গ। রোহিত বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে এই আড্ডার কথা বলেছিলাম, সে বলল নাফিস ভাইকে হাই বলতে। তুমি জান তাঁকে কেন মনে রেখেছে সে? কারণ এয়ারপোর্টে নাফিস ভাই তাকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়েছিল।’
তবে এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাইয়ে পরে কিন্ত বিপদেও পড়েছিলেন নাফিস ইকবাল। সে গল্প বলেন তামিম, ‘আমার ভাই ভাবির (রোহিতের স্ত্রী) সঙ্গে বসে খেলা দেখছিল। তারা পরিবারের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বসেছিল। আমার ভাইয়ের ভয়ংকর ক্ষুধা পেয়েছিল, কিছু খেতে চাইছিল। সে চাইছিল কিছু খেয়ে আসতে কিন্তু ভাবী তাকে যেতেই দিচ্ছিল না। তিনি বলছিলেন, “না, এখানেই থাকবে হবে, খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাওয়া যাবে না।” আমার ভাই তো ক্ষুধায় মরে যাচ্ছিল।’
বন্ধু হলেই তো এসব সম্ভব। এরপর রোহিত জানান কিভাবে তাদের বন্ধুত্ব হয়, ‘ আমি নিশ্চিত ওই দুই মাসে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। এক সঙ্গে ভ্রমণ করেছে, গ্যালারিতে বসেছে। খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছে বলেই সে এভাবে বসে থাকতে বলেছে। কারণ, সম্পর্ক ভালো না হলে কাউকে এভাবে কিছু বললে কী মনে করবে তার তো ঠিক নেই।’
তবে সে দুই মাসে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হলেও তার শুরুটা কিন্ত হয়েছিলো এয়ারপোর্টে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাইয়েই। হয়তো নাফিস ইকবাল জানতেনও না যে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাইয়ে রোহিতের বউয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যাবে। না জানলে কি হবে! বন্ধুত্ব তো হয়েই গেল তাদের।
আপনারও যদি সে সুযোগ আসে তাহলে হাতছাড়া করবেন না কিন্ত! বন্ধুত্ব না হলেও অন্তত রোহিতের বউয়ের স্মৃতিতে তো থাকবেন!