মুহা. ইকবাল আজাদ, ক্রীড়া সম্পাদক ।
২০১৬ সালে জাতীয় দলের নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা ছিল ৩জন। সেসময় তৎকালীন কোচ হাথুরুসিংহের দুই স্তরের নির্বাচনের বিরোধিতা করেন সাবেক নির্বাচক ফারুক আহমেদ। মতের বিরোধিতার জেরে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বকে ইস্তফা দেন ফারুক। ফলে গত কয়েক বছর ধরে নির্বাচকদের তিন আসনের এক আসন ফাঁকাই পড়েছিলো। সাম্প্রতিক, বিসিবি কর্তারা নির্বাচকের তৃতীয় আসনটি অভিজ্ঞ কোন খেলোয়াড়কে দিয়ে পূর্ণ করতে চাচ্ছেন। খুঁজছেন সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের দক্ষ ক্রিকেটার। নির্বাচক প্যানেলের তৃতীয় আসনের জন্য ইতিমধ্যে সাবেক ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাককেও প্রস্তাব দিয়েছেন। 'প্রস্তাবে রাজ্জাক সাড়া দিয়েছেন, উত্তর জানাতে সময় চেয়েছেন' বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান।
দীর্ঘ ৪ বছর দুই নির্বাচক দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিসিবি। দেরিতে হলেও নির্বাচকের তৃতীয় আসন পূর্ণ করতে চাচ্ছেন। জাতীয় দলের সাবেক টেস্ট খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকে নতুন নির্বাচকের দায়িত্বে আসুক, এমনটাই চাওয়া বিসিবি কর্তাদের। তন্মধ্যে সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলামের সাথে বিসিবির আলোচনা দীর্ঘদিনের। পছন্দের তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে আব্দুর রাজ্জাক এবং শাহরিয়ার নাফিসের নামও। খেলা ছেড়ে মঞ্জু বর্তমানে কোচিং পেশায় নিয়োজিত থাকলেও রাজ্জাক-নাফিসরা এখনো ঘরোয়া লীগে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন। তবে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার এবং দক্ষ ক্রিকেটার বিবেচনায় সবার প্রথম আসবে আব্দুর রাজ্জাকের নাম।
ঘরোয়া লীগে উইকেট শিকারের তালিকায় রাজ্জাক শীর্ষ বোলারের একজন। বয়স ৩৮ ছুঁইছুঁই হলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাপক চাহিদা এই বাঁহাতি অর্থডক্স বোলারের। এবারও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মোহামেডানের হয়ে মাঠে নামছেন আব্দুর রাজ্জাক। নিয়মিত লীগে খেললে নির্বাচকের চাকরি থেকে আর্থিক লাভবান বেশি হবেন। 'নির্বাচকের চাকরি কিংবা লীগের খেলোয়াড়,' পেশা নির্ধারণে নিশ্চিত কিছুটা দোটানায় পড়তে যাচ্ছেন রাজ্জাক। নির্বাচকের প্রস্তাব এবং সময় নেওয়ার ব্যাপার নিয়ে রাজ্জাক দৈনিক সমকালকে বলেন,
'হ্যাঁ, আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। একটু ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় চেয়েছি। প্রিমিয়ার লিগের খেলা শেষ করে জানাতে চেয়েছিলাম। লিগের খেলাও তো স্থগিত হয়ে গেল। এখন বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখব।'
প্রস্তাব গ্রহণের জন্য সময় চেয়েছেন বলে তিনি আরও বলেন,
'খেলা ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজে যেতে হবে। সত্যি কথা বলতে, এটা সহজ সিদ্ধান্ত না। যে কোনো সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নেওয়া ভালো। তাতে আফসোস থাকবে না।'
রাজ্জাক যদি শেষ পর্যন্ত প্রস্তাব নাকোচ করেন তবে বিসিবিকে নতুন কাউকে খুঁজতে হবে কিংবা বিকল্প কারো নাম প্রস্তাব করতে হবে। মঞ্জু, নাফিসের দিকেও তাকাতে পারে বিসিবি। দুই নির্বাচক নান্নু-সুমনও চান নির্বাচকমণ্ডলীতে তৃতীয় নির্বাচকের আগমন ঘটুক। এতে ঘরোয়া লীগের পরিসংখ্যান ঘাঁটতে, খেলোয়াড় নির্বাচন এবং বাছাইয়ে বেশ সুবিধা হবে। হয়তো দীর্ঘ ৪ বছর পর নির্বাচক প্যানেলে নতুন সদস্যের নাম খুব শীঘ্রই দেখা যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০