মুহা. ইকবাল আজাদ, ক্রীড়া প্রতিবেদক।
করোনার আতঙ্কে থমকে আছে ক্রীড়া জগত। বন্ধ হয়ে আছে সমগ্র ক্রিকেট বিশ্ব। স্থগিত হয়ে গেছে ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বিশ্বে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা, বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় মাঠে নেমেছেন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের অনেক তারকা। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। করোনা প্রতিরোধে আলাদা তহবিল গঠন করেছেন। নিজেদের বেতনের অর্ধেক প্রদান করছেন দলের ২৭ খেলোয়াড়।
করোনা নিষ্পত্তিতে কেন্দ্রীয় চুক্তির ১৭ জন খেলোয়াড় তাদের বেতনের অর্ধেক প্রদান করবেন। চুক্তিতে না থাকা, সাম্প্রতিক দলে খেলা ১০ ক্রিকেটারও তাদের বেতনের অর্ধেক দান করবেন 'করোনা প্রতিরোধ তহবিলে।' চুক্তিতে না থাকা মাশরাফিও 'এ প্লাস' ক্যাটাগরির বেতন পাবেন, দান করবেন ২ লাখ ১২ হাজার টাকা। প্রশ্ন থাকতে পারে, ম্যাশ কিংবা বাকি দশজন খেলোয়াড় চুক্তিতে না থাকলে কীভাবে বেতন পাচ্ছেন? মূলত কোন মাসে দলে খেলা কিংবা সংক্ষিপ্ত স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া প্রত্যেক খেলোয়াড়কে প্রাপ্য গ্রেড অনুযায়ী বিসিবি সেই মাসের বেতন প্রদান করে থাকেন। যার ফলে চুক্তিতে না থেকেও বেতন পাচ্ছেন শফিউল-নাসুমরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দলে তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। ২৭ ক্রিকেটারের সহয়তায় তহবিলে জমা হবে প্রায় ৩১ লাখ টাকা। তবে এই অর্থ কোন খাতে ব্যবহৃত হবে, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছেন তামিম। পুরো টাকা হাতে পেলেই তবে সিদ্ধান্ত নিবেন। তামিম বিশ্বাস করেন, সবাই নিজ জায়গা থেকে সচেতন এবং সহায়তা করলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে জেতা সম্ভব।
বিশ্ব জুড়ে করোনা প্রতিরোধে ক্রীড়াঙ্গনের অনেক তারকারাই সহায়তা করেছেন। আর্থিক সহায়তায় করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন বিশ্বের অনেক ফুটবলার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, মেসি, ইব্রাহিমোভিচসহ অনেক লা-লিগার ফুটবলাররা প্রতিরোধের পথে হাত বাড়িয়েছেন। ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম এগিয়ে এসেছেন পাকিস্তানের সাবেক কাপ্তান শহীদ আফ্রিদি। ভারতের দুই সহোদর ইরফান-ইউসুফ বাবার নামে করা সংগঠন থেকে সাহায্য করেছেন। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডও দেশের জন্য এগিয়ে এসেছেন, সহায়তা করছেন তাদের সরকারকে। এবার করোনা প্রতিরোধে আর্থিক সহায়তায় নতুন করে যোগ হচ্ছে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের নাম।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০